![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশের বাজারে পাঁচশ টাকার নীচে যেমন হেডফোন পাওয়া যায়, তেমনি অনেক দামিও রয়েছে। এক হাজার টাকার মধ্যের হেডফোনের ক্রেতারা সাধারণত খুব একটা বাছবিচার করেন না। সেই বিবেচনায় শাওমির চার হাজার টাকার নতুন এএনসি হেডফোনকে দামিই বলতে হবে। যদিও হেডফোনপ্রেমীদের কাছে এটি মাঝারি বাজেটের।
শাওমির ইয়ারফোনগুলো দীর্ঘদিন থেকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোন এমআই৬ থেকে হেডফোন জ্যাক বাদ পড়ার পর নতুন হেডফোন নিয়ে তারা কাজ করা একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছিল। তবে আবার নতুন করে স্বল্পমূল্যের হেডফোন আনছে চীনা অ্যাপল খ্যাত প্রতিষ্ঠানটি।
এবার অ্যাকটিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন সমৃদ্ধ হেডফোন নিয়ে হাজির হয়েছে শাওমি। এর মান কি রকম, চলুন দেখা যাক।
এক নজরে শাওমি অ্যাকটিভ নয়েজ ক্যানসেল (এএনসি) ইউএসবি সি হেডফোন
ডিজাইন
হেডফোন অংশের ডিজাইন আগের আয়রন রিং এইচডির মতো। অ্যালুমিনিয়াম বডির ইয়ার বাডগুলো কানের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায়।
মাইক্রোফোনের সঙ্গে রয়েছে তিনটি বাটন। ফলে প্লে-পজ ছাড়াও ভলিউম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে হেডফোন থেকেই।
ব্রেইডেড ক্যাবল থাকায় হেডফোনটি দেখতে ও ব্যবহারে খুই প্রিমিয়াম। দীর্ঘসময় ব্যবহারে ক্লান্তি আসবে না। তারও সহজে ছেড়ার সম্ভাবনা নেই।
সাউন্ড
বেইস : বেইস ছাড়া যাদের চলে না তাদের জন্য হেডফোনটি সঠিক নয়। বেইসের দিক থেকে কমতি না থাকলেও, মাথা ধরিয়ে ফেলার মত সাবসনিক বেইস এটি দিতে পারেনি।
একটু জটিল সুরের গানের বেলায় বেইস ও মিড কিছুটা ঘোলাটে হয়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে।
মিড : মিডের দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে শাওমি এএনসি হেডফোন। চমৎকার ভোকাল ও মিডবেইসের কারণে অ্যকুস্টিক গান শোনার জন্য হেডফোনটি আদর্শ।
হাই : ৪০ হাজার হার্জ পর্যন্ত সাউন্ড শোনাতে পারায় হেডফোনটি আর দশটি হেডফোনের চেয়ে অনেক বেশি পরিষ্কার হাই সাউন্ড দিতে সক্ষম। তবে যাদের তীক্ষ্ন সাউন্ডে সমস্যা আছে তাদের একটু দেখে শুনে কিনতে হবে।
সব মিলিয়ে, মূল্য অনুযায়ী শাওমি এএনসি ইয়ারবাডের সাউন্ড ভাল। তবে অসাধারণ নয়। অনেক ধরনের বাদ্যযন্ত্রের মিশ্রন যে সকল গানে রয়েছে সেগুলো শুনতে কিছুটা ঘোলাটে লাগতে পারে। বেইসের জন্যও হেডফোনটি আদর্শ নয়। এসব দেখে শুনে যারা এটি কিনবেন তাদের জন্য সাউন্ডের মানই শেষ কথা নয়।
নয়েজ ক্যান্সেল
চারপাশের আওয়াজ কমাতে অনেকেই হেডফোন ব্যবহার করেন, তার জন্য শাওমি এএনসি ইয়ারবাড খুবই কাজের। বেশিরভাগ বিরক্তিকর শব্দ যেই ফ্রিকুয়েন্সির, সেই ফ্রিকুয়েন্সির শব্দ নষ্ট করে দিবে এ হেডফোন। ফলে ইঞ্জিনের শব্দ, অফিসের দৈনন্দিন আওয়াজ বা অন্যান্য শব্দ খুবই কম শোনা যাবে।
গান না শুনেও শুধু ফোনের সঙ্গে হেডফোন লাগিয়ে নয়েজ ক্যান্সেল অন করলেই চারপাশের শব্দ বন্ধ হয়ে যাবে।
অন্যান্য
হেডফোনটি ব্যবহারের জন্য টাইপ-সি পোর্ট সমৃদ্ধ ফোন প্রয়োজন। ইউএসবি সি পোর্ট থাকলেই হবে না, পোর্টের মাধ্যমে যে সব ফোনে হেডফোন ব্যবহার করা যায় এবং হেডফোন লাগানো অবস্থায় পোর্ট থেকে পাওয়ার নেওয়া যাবে শুধু সেই ফোনেই এটি কাজ করবে।
এর মাঝে রয়েছে শাওমির সকল টাইপ সি সমৃদ্ধ ফোন। তবে ওয়ানপ্লাসের ফোনে এটি কাজ করবে না। পিক্সেল সিরিজে কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৭ সালে আসা প্রচুর ফোনেই ইউএসবি সি পোর্টের মাধ্যমে হেডফোন লাগানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এ সকল ফোনের সঙ্গে এটি কাজ করবে।
মূল্য : বাজারে চার হাজার থেকে চার হাজার ৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এক নজরে ভালো
এক নজরে খারাপ
রিভিউটি তৈরি করেছেন টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর এস.এম. তাহমিদ