![]() |
অনন্য ইসলাম, টেক শহর প্রতিবেদক : ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য চালু হওয়া আন্তঃসীমান্ত গ্রিড বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট সংযোগের দ্বারও অবারিত করে দিতে পারে। গ্রিডে ব্যবহৃত অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে উভয় দেশের মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
ইন্দো-বাংলা বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দীর্ঘ গ্রিডের অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহারকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন অনেকেই। তাদের মতে, উভয় দেশের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি তাদের ফাইবার ভাড়া দিয়ে এ সংযোগ স্থাপনে সুযোগ করে দিতে পারে।
ইতোমধ্যে প্রতিবেশি দেশ দুটির মধ্যে ব্যান্ডউইথ সংযোগের কাজ করছে ছয়টি ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্টোরিয়াল ক্যাবল লিংক। এর মাধ্যমে ভারত থেকে অন্তত ১৫ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ আমদানি করা হচ্ছে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সুমন আহমেদ সাবির বলেন, এ সংযোগ আমাদের জন্য নতুন সুযোগ করে দিতে পারে। এটি দুই দেশের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ আদান-প্রদানের আরেকটি বিকল্প মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে। তিনি বলেন, কারিগরি দিক বিবেচনায় এ সংযোগ স্থাপন খুবই সহজ। এতে উভয় দেশের ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারীদের সঙ্গে নিরাপদ এবং কম খরচে যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে।
আইটিটি কোম্পানি ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ স্ট্রাটিজিক অফিসার হিসাবে কাজ করা সুমন বলেন, দেশে পিজিসিবি অনেক আগে থেকে গ্রিডে ব্যবহৃত ফাইবার অপটিক লাইন বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে ভাড়া দিয়েছে। যতোদূর জানি ভারতের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানিও একই সুযোগ দিচ্ছে। সুতরাং দুই দিকের জন্যেই ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনে এটি কাজে লাগানো যেতে যারে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ফাইবার অ্যাট হোম ছাড়াও আরও একটি ট্রান্সমিশন কোম্পানি সামিট কমিউনিকেশন্স পিজিসিবি থেকে ২১০টি উপজেলায় সংযোগ স্থাপনের জন্যে ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার লাইনের ফাইবার অপটিক ১৫ বছরের জন্যে ভাড়া নিয়েছে।
গত ৫ অক্টোবর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ সঞ্চালনে স্থাপিত গ্রিড লাইন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে। ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমাদানির জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করেছে।
– টেক শহর