সাউন্ডে অন্যদের চ্যালেঞ্জ করছে রিম্যাক্স ব্লুটুথ হেডফোন

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : স্মার্টফোন থেকে হেডফোন জ্যাক ধীরে ধীরে সরিয়ে নিচ্ছে নির্মাতারা। যদিও বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর কাছে ব্যাপারটি অনেকটাই শোভন মনে হয়নি।

তবে ধরে নেয়া যেতে পারে এই ট্রেন্ড সহজে থামছে না। তাই হেডফোন কেনার সময় ব্লুটুথ হেডফোন কেনাটা এই মুহূর্তে অনেকটাই যুক্তিযুক্ত।

ব্লুটুথ হেডফোনের মূল্য সাধারণত ৩.৫ মিলিমিটার জ্যাকসমৃদ্ধ হেডফোনের চেয়ে বেশি। সাউন্ডের কোয়ালিটিও তারের চেয়ে কম হওয়ায় অনেকেই কিনতে নারাজ। সেই চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করতে বাজারে এসেছে রিম্যাক্স আরবি-এস৭ হেডফোন।

Techshohor Youtube

ইয়ারবাডটি ব্লুটুথ ৪.১ চালিত; সে সূত্রে হাই ডেফিনিশন সাউন্ড দেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে। দেখা যেতে পারে হেডফোনটি কেমন।

এক নজরে রিম্যাক্স আরবি-এস৭

  • ব্লুটুথ ৪.১ চালিত, তবে অ্যাপ্ট-এক্স কোডেকের উল্লেখ নেই
  • রেঞ্জ বলা হয়েছে ১০ মিটার, তবে তা ওয়ালের জন্য কমে আসবে
  • ১৬ ওম ইম্পিডেন্স
  • ৫ মিলিওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রাইভার
  • ৯০ এমএএইচ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি
  • ৯ মিলিমিটার সিঙ্গেল ড্রাইভার ইয়ারবাড
  • ২০-২০০০০ হার্জ ফ্রিকুয়েন্সি রেসপন্স
  • ২ ঘণ্টা চার্জ টাইম, ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ
  • ইয়ারবাডের পেছনে ম্যাগনেট রয়েছে
  • হাই ডেফিনিশন মাইক্রোফোন, রয়েছে ভলিউম বাটনসহ সর্বমোট তিনটি বাটন

সাউন্ড কোয়ালিটি 

বেইজ : সাবউফার ঘরানার বেইজ এই ইয়ারবাড থেকে তেমন পাওয়া যাবে না, তার মানে বেইজ নেই তা নয়। বেইজ সমৃদ্ধ গানের প্রতিটি শব্দ খুবই স্পষ্টভাবে শোনা যাবে। পাওয়া যাবে ছন্দও-শুধু থাকবে না কান কাঁপানো বেইজ। তবে ইয়ারবাড থেকে সাধারণত এমন বেইজ পাওয়া যায় না। মূলত ৫০-৬০ হার্জের বেইজ বেশি ভালো ভাবে বোঝা যাবে।

মিড : মিড বা ভোকাল রেঞ্জের সাউন্ডের টিউনিং হেডফোনটির খুবই উচ্চমানের। প্রতিটি কথা, গানের লিরিকের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে শোনা যাবে, তবে বেইজের সাথে সেটি একত্রিত হয়ে পড়বে না।

যারা গান শোনার পাশাপাশি এর মাধ্যমে কথা বলতে ব্যবহার করবেন বা সিনেমা দেখার কাজে লাগাবেন তাদের জন্য টিউনটি পারফেক্ট।

ট্রেবল : ট্রেবলের ক্ষেত্রে ইয়ারবাডটি বেশ পিছিয়ে রয়েছে। বিশেষত মেটাল বা রক ঘরানার গান শোনার সময় ইকুয়ালাইজারের মাধ্যমে ট্রেবল না বাড়িয়ে নিলে সাউন্ড ভালো লাগবে না। তবে এমন নয় যে, এটি ট্রেবল দিতেই অক্ষম, ইকুয়ালাইজার ব্যবহারে এটির সাউন্ড খুবই ব্যালেন্সড করা সম্ভব।

ভলিউম : তারের হেডফোনের চেয়ে এটির ভলিউম কোনো অংশে কম নয়। তবে মনে রাখতে হবে হাই ভলিউমে ব্যাটারি লাইফ কমে যাবে।

ব্যাটারি লাইফ : টানা ব্যবহারে ৬০ শতাংশ ভলিউমে অন্তত ৬ ঘণ্টা ব্যবহারের কথা রিম্যাক্স বলেছে। তবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে ৮ ঘণ্টা অনায়েসে গান শোনা যাবে। কথা বলার ক্ষেত্রে সেটি বেড়ে ১০ ঘণ্টাও হতে পারে। তবে ফুল ভলিউমে বেইজ ওয়ালা গান শুনলে ৬ ঘণ্টার বেশি পাওয়া যাবে না।

অন্যান্য ফিচার : হেডফোনটি চালু অবস্থায় অন্যান্য ব্লুটুথ ডিভাইসের মত আলোর ঝলকানি দিতে থাকবে না। শুধুমাত্র কানেক্ট করার সময় ও পেয়ারিংয়ের সময় আলো দেখা যাবে। কানেক্ট করে রাখলে এটি কোনো সাউন্ড না পেলে স্লিপ মোডে চলে গেলেও ডিসকানেক্ট হবে না। হেডফোন কানেক্ট করে রেখে দিলে বেশ কিছু সময় পর সাউন্ড প্লে করলেও সঙ্গে সঙ্গে প্লেব্যাক শুরু হবে।

হেডফোনটি চার্জ হতে সময় নেবে মাত্র ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। মাইক্রো ইউএসবি’র মাধ্যমে সহজেই চার্জ করা যাবে। কানের সাথে হেডফোনটি সহজেই মানিয়ে যায়, সমস্যা শুধুমাত্র এটি পানিনিরোধী না হওয়াই।

পরিশেষ : মূল্য অনুসারে রিম্যাক্স আরবি-এস৭ হেডফোনটি খুবই ভালোমানের। তবে এই মূল্যে আওয়েই এর হেডফোনগুলো প্রায় একই ফিচার দিচ্ছে; মাঝে মাঝে এর চেয়েও স্বল্প মূল্যে আরও বেশি ফিচার, যেমন অ্যাপ্ট-এক্স সুবিধাও আওয়েই এর হেডফোনে থাকছে।

এক নজরে ভালো

  • সাউন্ড কোয়ালিটি
  • ব্যাটারি লাইফ
  • কমফোর্ট

এক নজরে খারাপ

  • অ্যাপ্ট-এক্স নেই
  • পানিনিরোধী নয়

মূল্য

বাজারে  এক হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে হেডফোনটি।

এস এম তাহমিদ

*

*

আরও পড়ুন