![]() |
অনন্য ইসলাম, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : মোবাইল ফোনের সর্বনিম্ন কলরেট ১০ পয়সা বাড়ানো হচ্ছে। একই অপারেটরের মধ্যে কথা বলার ক্ষেত্রে এ চার্জ বাড়বে। যদিও ভিন্ন অপারেটরের কলে তা কমানাে হচ্ছে ১৫ পয়সা। আর সর্বোচ্চ কলরেটের সীমা ১ টাকা ৫০ পয়সা করা হচ্ছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একই অপারেটরের মধ্যে নতুন রেট করা হচ্ছে ৩৫ পয়সা, যা আগে ছিল ২৫ পয়সা। ভিন্ন অপারেটরের কলে এ রেট ৬০ পয়সা হতে কমে ৪৫ পয়সা করার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে সর্বোচ্চ কলরেট দুই টাকা থেকে নামিয়ে এক টাকা ৫০ পয়সা করা হবে।
বিটিআরসির এক কমিশন বৈঠকে সাত বছর পর সম্প্রতি কলরেটের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ হার পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্ত হয়। ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত সরকারের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সরকারের নীতিগত অনুমোদনের জন্য সুপারিশ আকারে এসব সিদ্ধান্ত পাঠানো হলেও কমিশন তা আবার পর্যালোচনার সুযোগও রেখেছে বলে জানা গেছে।
সর্বনিন্ম কলরেট বৃদ্ধির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কলরেটের এ পরিবর্তন গ্রাহকদের কথা বলার খরচ নূন্যতম হলেও বাড়াবে। কেননা বেশিরভাগ গ্রাহকই একই অপারেটরের মধ্যে বেশি কল করে থাকেন।
বর্তমানে চালু সর্বনিন্ম ও সর্বোচ্চ কলের রেট ২০১০ সালে নির্ধারণ করেছিল বিটিআরসি। তখন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সঙ্গে যৌথভাবে এক সমীক্ষা শেষে ফোন কলের সীমা বেঁধে দিয়েছিল সংস্থাটি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিস্তারিত পর্যালোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বড় অপারেটরগুলোর আরও সুবিধা হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটকের মতো ছোট অপারেটর আরও ক্ষতির মুখে পড়বে।
নতুন প্রস্তাব অনুসারে, কল ভলিউম যদি আগের মতোই থাকলে মাসে গ্রামীণফোনের আয় বাড়বে ৯৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে রবির আয় বাড়বে ১৯ কোটি ও বাংলালিংকের ৯ কোটি টাকা।
এর বিপরীতে টেলিটকের আয় মাসে চার কোটি টাকা কমে যাবে।