![]() |
আল আমীন দেওয়ান, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : আসন্ন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) নিবার্চনী লড়াই বেশ জমে উঠতে শুরু করেছে। সাত পদের বিপরীতে প্রার্থী ১৩ জন হলেও নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় নেমেছে দৃশ্যত দুটি পক্ষ। একদিকে সাত সদস্যের একটি প্যানেল, অন্যদিকে ছয় জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হতে প্রচারণার মাত্রা বাড়িয়েছেন।
বছরের পুরো সময় ধরে ঝিমিয়ে থাকা বিসিএস প্রার্থীদের নানামুখী প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা বিভিন্ন শহরে আঞ্চলিক কমিটি, ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্লাটফর্ম, মার্কেট ও ভোটারদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসা করছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে প্যানেলের পক্ষ থেকে প্রার্থীরা সংগঠিতভাবে সুনিদির্ষ্ট ইশতেহার তুরে ধরে প্রচারণা চলাচ্ছেন। অন্যদিকে বিছিন্নভাবে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
গত ডিসেম্বরের নির্বাচন স্থগিতের পর নতুন তফশিল অনুযায়ী আগামী ২৯ মার্চ বিসিএসের ২০১৪-২০১৫ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনের সদস্য এক হাজারের বেশি হলেও এবার ভোটার ৭৩৩ জন। তারা সাত জন নেতা নির্বাচনে ভোট দেবেন।
প্রার্থীতার বিষয়টি ডিসেম্বরে চূড়ান্ত থাকলেও মাঝের সময়টাতে প্রার্থীরা ঢিলে তালে প্রচারণা চালিয়েছেন। এখন নির্বাচনের সময় যতো এগিয়ে আসছে ততোই ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে প্রচারণার মাত্রা বাড়িয়েছেন।
নির্বাচনে কম্পিউটার সোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএইচএম মাহফুজুল আরিফের নের্তৃত্বে রয়েছে ‘বেটার বিজনেস অ্যান্ড বিসিএস’ প্যানেল।
এর অন্য সদস্যরা হলেন, মুজিবুর রহমান স্বপন (হাইটেক প্রফেশনালস), এটি শফিক উদ্দীন আহমেদ (ইন্টারন্যাশনাল কম্পিউটার ভিশন), ইউসুফ আলী শামীম (কম্পিউটার পয়েন্ট), নজরুল ইসলাম মিলন (পিসি মার্ট), কাজী শামসুদ্দীন আহমেদ লাভলু (এবিসি কম্পিউটার কর্ণার) ও আলী আশফাক (আরএম সিস্টেমস লিমিটেড)।
আর স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন মঈনুল ইসলাম (টেকভ্যালি), আব্দুল মোমেন খান (ডাটা সল্যুশন), সঞ্জয় কুমার সাহা (জেএএএন কম্পিউটার), ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার (সিএনসি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল), এস এম ওয়াহেদুজ্জামান (মাইক্রোসান সিস্টেম) ও নাজমুল আলম ভূঁইয়া (সাইবার কমিউনিকেশন)।
প্রচারণার অংশ হিসাবে এখনও ঢাকার বাইরে রয়েছেন প্যানেলের একটি অংশ। এএইচএম মাহফুজুল আরিফ এবং আলী আশফাকসহ কয়েকজন মিলে ভোটারদের কাছে নিজেদের নির্বাচনী অঙ্গীকাররের কথা তুলে ধরছেন।
আলী আশফাক মঙ্গলবার টেকশহরডটকমকে জানান, প্যানেলের প্রচারণার জন্য ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। বিছিন্নভাবে কোনো কথা বলছি না। প্যানেল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটারদের কাছে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরা হচ্ছে। ইশতেহারে আমাদের প্রতিশ্রুতি ও পরিকল্পনার কথা বলেছি। ভোটারদের কাছে সেগুলোই তুলে ধরছি।
প্যানেলের সংগঠিত চরিত্রে বিপরীত অবস্থা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। তারা যে যার মতো প্রচারণা চালাচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী সিএনসি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সিইও ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার টেকশহরডটকমকে বলেন, রাজশাহী, খুলনা, সিলেটসহ ৮টি শহরে ইতোমধ্যে প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবারও ঢাকার বাইরে ভোটারদের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি।
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মাইক্রো সান সিস্টেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ওয়াহিদুজ্জামানও ঢাকার বাইরে। প্যানেল ছাড়া প্রত্যেকে যার যার মতো প্রচারণা চালাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ভোটারদের কাছে। ভোটাররা সবার কাছে তাদের দাবি দাওয়া তুলে ধরছেন। আর সবাই প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন।
তবে ব্যাপক প্রচারণার বিপরীতে ভিন্ন চিত্রও রয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাটা সলিউশনস লিমিটেডের সিইও এবং ইস্টার্ণ প্লাজা বিসিএস ল্যাপটপ বাজারের সভাপতি মোমিন খান এখনও প্রচার শুরু করেননি বলে দাবি করেন। তিনি টেকশহরডটকমকে বলেন, ‘শুনেছি অনেকে জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে শিগগির ফোনে ও সরাসরি প্রচারণায় নামব।’