![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : স্মার্টফোনের অ্যাক্সেসরিজের বাজারে এখন ছোট আকৃতির ব্লুটুথ স্পিকারের জোয়ার চলছে। তবে বাজারে বেশকিছু অনামী-বেনামী ব্লুটুথ স্পিকার বাজার সয়লাব করেছে বলা যায়। দাম কম হওয়ায় অনেকেই সেগুলো কিনে প্রতারিত হন।
তাই এমন বাজারে একটি ভালো সাউন্ড, ব্যাটারি-লাইফ ও ডিজাইনের স্পিকার খুঁজে নেওয়া বেশ দুষ্কর। তবে অন্যান্য ডিভাইসের মতই এ ক্ষেত্রে শাওমির ডিভাইসটি বাজারে অন্যতম।
এক নজরে শাওমি স্কয়ার বক্স ২
ডিজাইন
অ্যালুমিনিয়ামের বক্স আকৃতির স্পিকারটির সামনে ও পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে সাদা রাবারাইজড প্লাস্টিক। অ্যালুমিনিয়াম ও সাদা প্লাস্টিকের সমাহারে তৈরি স্পিকারটি দেখতে খুবই দৃষ্টি নন্দন। তবে মূল ব্যাপার হচ্ছে, সাধারণ ব্যবহারে দাগ পড়া বা দেবে যাওয়ার আশঙ্কা নেই, অথচ স্পিকারটি ফোনের চাইতেও হালকা।
ওপরে থাকা পাওয়ার ও ভলিউম বাটন ছাড়া স্পিকারটিতে আর কোনও বাটন দেয়া হয়নি। পেছনে রয়েছে চার্জিং ও অক্স-ইন পোর্ট। নিচে দুটি রাবারের ফিট দেয়া হয়েছে, যাতে স্পিকারটি পিছলে না যায়। স্পিকারটির সামনের গ্রিলেই মাইক্রোফোন ও এলইডি দেয়া হয়েছে। বিশেষত এলইডিটির অবস্থান ও ব্রাইটনেস এমনভাবে দেয়া হয়েছে যাতে সরাসরি না তাকালে চোখে না পড়ে-অন্ধকারে ব্যবহারে যা খুবই গুরত্বপূর্ণ।
সাউন্ড কোয়ালিটি
স্পিকারটি বেশ জোরালো, স্পষ্ট ও কিছুটা বেস সমৃদ্ধ সাউন্ড দিতে সক্ষম। মজার বিষয় হচ্ছে, স্পিকারটির আকৃতি দেখে আন্দাজ করার উপায় নেই এটি অনায়েসে রুমের প্রতিটি কোনায় গান পৌঁছে দিতে সক্ষম। তবে সাবওফার পর্যায়ের বেস এর থেকে আশা করা উচিত না। এটি মাঝারি বেস, অর্থাৎ ১০০ হার্জের নিচে নামতে সমর্থ নয়।
কনফারেন্স কলের জন্যেও স্পিকারটি সহজেই ব্যবহার করা যাবে। এর মাইক্রোফোনটি বেশ উন্নতমানের। প্রয়োজনে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা অ্যালেক্সা ব্যবহারেও কাজ চালিয়ে নিতে পারবে ডিভাইসটি।
স্পিকারটির ভলিউম বাটন নিজস্ব ভলিউম ও ফোন/ট্যাবলেটের ভলিউম দুটিই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
ব্যাটারি লাইফ
শাওমির ভাষ্যমতে, এটি টানা ১০ ঘণ্টা চলতে সক্ষম। তবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেটি ৪০ শতাংশ ভলিউমেই সম্ভব। ফুল ভলিউমে এটি ৭ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারবে। চার্জ হতে এক ঘণ্টা বা কিছুটা বেশী সময় প্রয়োজন।
এক নজরে ভালো
এক নজরে খারাপ
মূল্য : বাজারে স্পিকারটি এক হাজার ৯০০ থেকে দুই হাজার ২০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এসএম তাহমিদ