![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নারীদের কর্মসংস্থানের বিকল্প নেই। দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ নারী, সে কারণে সরকার এমন কি জাতিসংঘও চায় দেশে নারীদের কাজে লাগিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে।
এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে এমন একটি পদক্ষেপকে সমেয়াপযোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর নারদের এমন উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে পারলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও দারিদ্র্য দূর করা সহজ হবে।
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের ক্ষমতায়িত করতে ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম ‘উইমেন আইসিটি ফ্রন্টিয়ার ইনিশিয়েটিভ’ বা ওয়াইফাই এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
শিরীন শারমিন বলেন, এখন ই-কমার্স এবং অনলাইনে কেনাকাটা খুব জনপ্রিয় হয়েছে। এটা সবাই জেনে গেছে। তাই নারীদের যদি উদ্যোক্তা হিসেবে আরও ভালো করতে হয় তবে এমন প্রশিক্ষণ খুব ইতিবাচক হিসেবে কাজ করবে।
তাই প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের উচিত নারীদের ফোকাস করে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যেগুলোতে বাধ্যতামূলক শুধু নারীদের জন্যই ৩০ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ পুরুষের সমান করতে চাই। সেটিতে অন্যতম হাতিয়ার হবে এই ওয়াইফাই প্রোগ্রাম।
আগামী ২০২১ সাল নাগাদ ৩০ হাজার নারী উদ্যোক্তাকে ওয়াইফাইযের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এটা সবে শুরু। এমন ধারবাহিকতা চলতে থাকবে বলেও অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
জাতিসংঘের ‘দ্যা ইউনাইটেড ন্যাশন এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক ট্রেনিং সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ফর ডেভেলপমেন্ট’ এর সঙ্গে অংশীদার ভিত্তিতে প্রোগ্রামটির যাত্রা শুরু হলো।
এটি বাস্তবায়ন করতে কাজ করবে যৌথভাবে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি) এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব আইসিটি ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি)।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, দেশে নারীদের উদ্যোক্তা তৈরি করতে পারলে দারিদ্র্য অনেক কমে যাবে। একই সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদী উন্নয়ন অর্জন সহজ হবে।
জাতিসংঘের এপিসিআইটিসি-এসক্যাপের ডিরেক্টর হুয়েন সুক-রি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্ভাবনার জায়গা হলো এর জনগণ। এখানে জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই এখানে নারীদের মধ্যে যে ‘ডিজিটাল ডিভাইড’ তা দূর করতে হবে।
ওয়াইফাই ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রামের যাত্রায় আরও বক্তব্য রাখেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট।
দেশে প্রোগ্রামটির সম্পর্কে বেশকিছু দিক তুলে ধরেন বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি) সভাপতি লুনা সামসুদ্দোহা, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব আইসিটি ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি) প্রধান নির্বাহী সফিউদ্দিন আকবর।
ইউএনএসকাপ-এপিসিআইসিটি’র ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, কম্বোডিয়া, কাজাখস্তান এই কার্যক্রম চালু হয়েছে।
বাংলাদেশেও এই কার্যক্রম চালু করতে প্রাথমিক হিসেবে ইতোমধ্যে উদ্যোগটির আওতায় প্রশিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ(টিওটি) কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে দুটো ব্যাচে ২০ জনের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে।
ইমরান হোসেন মিলন