![]() |
আনিকা জীনাত, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন ঘরে বসে কাজ করেও উপার্জন করা যায়। ৯টা-৫টার ধরা বাধা নিয়মের চক্রে পড়তে না চাইলে বেছে নিতে পারেন ঘরে বসে কাজ করার চাকরি।
অফিসে যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়, এমন আটটি কাজের কথা জানাতে আজকের আয়োজন। এসব কাজ থেকে বেশ ভালো আয় হয়। ঘন্টাভিত্তিক, কনটেন্ট অনুযায়ী কিংবা চুক্তি অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাওয়া যায়।
দেশে ফ্রিল্যান্সারদের অনেকেই এসব আউটসোর্সিং কাজ করে ভালোই আয় করছেন। কারও কারও আয়ের পরিমান মাসে ছয় অংকের ডিজিটও পেরিয়ে যায়। নতুনদের আয়ের পরিমানও কম নয়।
১. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ
ছোট খাটো প্রতিষ্ঠানের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ পদে চাকরি করা ব্যক্তিদেরকে প্রায়ই মিটিংয়ে যোগ দিতে হয়।
এ কাজ বাদে ক্লায়েন্ট ও বিনিয়োগকারীদের জন্য পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, এক্সেল শিট, ব্লগ ও ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণের কাজও করতে হয়। এ কাজগুলো ঘরে বসেই করা যায়।
২. ট্রান্সলেট
একের অধিক ভাষায় দক্ষতা থাকলেই শুধু অনুবাদক হওয়া সম্ভব। আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিষয়ে কিংবা গবেষণার কাজে লেখালেখির ইচ্ছা থাকলে ঘরে বসেই আয় করা যায়।
৩. ব্লগ
ব্লগ থাকলে গুগলের অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য সাইন আপ করা যায়। যদি গুগল আপনার ব্লগে বিজ্ঞপন বরাদ্দ দিতে রাজি হয়, তাহলে ব্লগ লিখেই আয় করা সম্ভব।
ক্লিক ও ভিউয়ের সংখ্যা যতো বাড়বে, আপনার আয়ের পরিমাণও তত বাড়বে।
৪. অনলাইনে পণ্য বিক্রি
অনলাইন শপের জন্য পণ্য কিনতে বাজারে ছুটতে হলেও পণ্য দেখানো, অর্ডার নেওয়া ও ডেলিভারির কাজটি বাসায় বসেই করা যায়।
ফেইসবুক পেইজ বা নিজস্ব ওয়েবসাইটের বাইরেও অ্যামাজনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব। এটি করতে হলে অ্যামজনকেও কিছু পরিমাণ অর্থ দিতে হবে। অনলাইনে অ্যামাজন পণ্য প্রচারের কাজ করেও অর্থ উপার্জন করা যায়।
৫. ইউটিউব ভিডিও
ইউটিউবে ভিডিও পোস্ট করেও ঘরে বসে আয় করতে পারেন। এটি করতে হলে ইউটিউবে আপনার পছন্দের একটি ক্যাটেগরি সিলেক্ট করতে হবে। ভিডিও করার জন্য ভালো রেজুলেশনের একটি ক্যামেরা হলেই চলবে। তবে একটি বিষয় সব সময়ই মাথায় রাখতে হবে ভিডিওর বিষয় বস্তু যাতে আকর্ষনীয় হয়। ফটোশপের টিউটোরিয়াল হোক বা রান্নার কোনো ভিডিও, মোট ভিউয়ের পরিমাণ বাড়লে ইউটিউবই আপনাকে অর্থ দেবে।
৬. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
কোডিং ও ওয়েবডিজাইন জানলেও ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। অনলাইনেই কোডিং ও ওয়েবডিজাইন সম্পর্কিত বেশ কিছু টিউটোরিয়াল আছে। মার্কেটপ্লেসগুলোতে এখন তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। তাই ওয়েবডিজাইনার হিসেবে কাজ পেতে চাইলে আগে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
৭. কনটেন্ট রাইটিং
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তথ্যভিত্তিক বিষয় বস্তুর ওপর লেখা প্রবন্ধের চাহিদা রয়েছে। পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ থাকলে আর সহজ ভাষায় গুছিয়ে লিখতে পারলেই কনটেন্ট রাইটার হওয়া সম্ভব। বিশ্বজুড়ে এখন ইংরেজি ভাষার একচ্ছত্র আধিপত্য। তাই লিখতে হলে অবশ্যই ইংরেজি গ্রামারে ভালো দখল থাকতে হবে।
৮. ডাটা এন্ট্রি
এই কাজের জন্য বিশেষ কোনো দক্ষতার প্রয়োজন নেই। কাজটি পেতে হলে প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে সাইন আপ করতে হবে। এরপর ক্লায়েন্টদের স্ক্যান করে পাঠানো ডাটা শিট দেখে সেগুলো কম্পিউটারে এন্ট্রি করতে হবে। সহজ এই কাজটির জন্য শুধু দ্রুত টাইপ করতে জানলেই হয়।
দ্য ইকোনোমিক টাইমস অবলম্বনে