![]() |
তুসিন আহমেদ, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : আগামী পাঁচ বছর সরকারের লক্ষ্য আইটি শিল্পকে উন্নতি করা। দেশের বাইরে আইটি দক্ষতাসম্পন্ন শ্রমিক পাঠানো হবে। সরকার আয়োজিত আইটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুল-তরুণীরা তাদের বেকার সমস্যা দুর করতে পারবে। এ বিষয়ে সরকার ব্যবসা করতে চায় না, ব্যবসায়ী তৈরি করতে চায়।
মঙ্গলবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে ই-ফাইলিং সিস্টেম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন সরকারি সব অফিসে ই-ফাইলিং পদ্ধতি চালুর অনুমোদনের জন্য একটি ই-ফাইল আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছে পাঠান। প্রতিমন্ত্রী ফাইলটি অনুমোদনের জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর কাছে পাঠান। মিনিটের মধ্যেই সম্পন্ন হয় ফাইল আদান-প্রদানের কাজ, প্রয়োজন হয়নি কোনো বার্তা বাহকের।
ই-ফাইলিং পদ্ধতিতে কিভাবে ফাইল স্থানান্তর করতে হয় সেটি বিস্তারিত দেখান জুনাইদ আহমেদ পলক। এই সর্ম্পকে তিনি জানান, “কাজে গতি আনার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেবা প্রদান বাড়াতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে ই-ফাইলিং সিস্টেমের যাত্রা শুরু হচ্ছে। একই সঙ্গে কাগজের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশবান্ধব অফিস পরিবেশ তৈরিও এ কার্যক্রমের অন্যতম উদ্দেশ্য। ই-ফাইলিং পদ্ধতির ফলে দ্রুত গতিতে ফাইল শেয়ার করা যাবে।”
আইটি ক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে নিতে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “সারাদেশে ৫০ হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা হবে। ফলে নারীরা ঘরে বসে আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। ইতিমধ্যে আইটি খাতে বাংলাদেশ অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কল সেন্টার। এরপর সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মকে আইটি শিক্ষায় শিক্ষিত করা।
বিশ্ব ব্যাংকের সামোলাচনা করে জয় বলেন, “বিশ্বব্যাংকের অভ্যাস টাকা দিয়ে শর্ত জুড়ে দেওয়া। বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। আমরাও ফকিরের দেশ না। বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে আমরা মাগনা ঋণ নেই না। শোধ করি। আমরা যা চাই সেটাই করবো।”
সারা দেশে মোবাইল অ্যাপস তৈরি প্রশিক্ষণকে স্বাগত জানান জয়। তিনি জানান, “মোবাইল অ্যাপ খাতে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় একটি দেশ। মোবাইল অ্যাপস বাংলাদেশের পরবর্তী আইটি শিল্প হবে।”
এছাড়া মত বিনিময় সভায় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি উন্নতির লক্ষ্যে করনীয় বিষয়ে নানা দিক নির্দেশনা এবং আলোচনা করা হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।