![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি স্থাপনা বা বাড়ি ভাড়ার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট রাখার প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তবে খাতটির উদ্যোক্তা এবং সংগঠেনর নেতারা শুরু থেকেই এই খাতে সব ধরনের ভ্যাট-ট্যাক্স অব্যাহতির জন্য জোর দাবি তুলে আসছিলেন। সেই দাবির ফলে বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি স্থাপনা বা বাড়িভাড়ায় রাখা ১৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতির কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। যা গত বছরের সংশোধিত বাজেটে অব্যাহতিও দেওয়া হয়।
২০১৭-১৮ সালের বাজেটেও সেই ভ্যাট অব্যাহতি বহাল রাখা হয়েছে। ভ্যাট অব্যাহতি বহাল রাখায় দেশে খাতটির স্ফূরণ এবং খাতটি আরও সুসংগঠিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ী এবং খাত সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতারা সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এতে করে খাতটিকে বিদেশীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সাহস যোগাবে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি স্থাপনা বা বাড়ি ভাড়ায় ভ্যাট অব্যহতির সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানায়। এটা অবশ্যই ক্রমবিকশিত তথ্যপ্রযুক্তির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, এর ফলে আমাদের সামগ্রিক তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। কারণ একটি দেশিয় প্রতিষ্ঠান যখন এমন সুবিধা পাবে তার সামগ্রিক কাজে, নিজেদের পণ্যের প্রসার এবং নিজেদের ব্যবসাকে তারা বিদেশি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার দিকে মনোযোগ দিতে পারবে।
প্রবীণ এই তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মনে করেন, বাজেট থেকে তথ্যপ্রযুক্তি স্থাপনা যে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের কথা আগে বলা হয়েছিল সেটি অব্যাহতি বহাল থাকায় দেশে খাতটির স্ফূরণ অব্যাহত থাকেব।
এই ভ্যাট অব্যাহতি বহাল রাখায় দেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পথ চলা আরও সহজ হবে বলে টেকশহরডটকমকে জানান বেসিসের সাবেক সভাপতি, দেশের অন্যতম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বাগডুমের প্রতিষ্ঠাতা, এফবিসিসিআই পরিচালক ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহসান।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ই-কমার্স উদ্যোক্তা প্রিয়শপ ডটকমের প্রধান নির্বাহী আশিকুল আলম খাঁন বলেন, আইসিটির সকল ক্ষেত্রের কোম্পানির বাড়ি ভাড়ায় কোন ভ্যাট নেই। আমরা আশা করবো ই-কমার্সেও সেটি অব্যাহতি বহাল থাকবে। যদি ই-কমার্সে আলাদা করে বাড়ি ভাড়ার উপর ভ্যাট বসানো হয় তাহলে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে। নতুন এবং ক্রমবর্ধমান খাত হিসেবে সরকার বিষয়টি মাথায় রেখে তা অব্যাহতি বহাল রাখলে খাতটিকে এগিয়ে নিতে কাজ করা সহজ হবে।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ই-ক্যাবের সভাপতি রাজিব আহমেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি স্থাপনায় সবধরনের ভ্যাট-ট্যাক্স অব্যাহতি রাখা জরুরী। বিশেষ করে ক্রমবর্ধমাণ হিসেবে ই-কমার্সের উপর যে কোন রকমের ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বাজেটে ই-কমার্সের জন্য আলাদা করে কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। আগে এই খাতকে অর্থ সহায়তা দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। না হলে দেশি উদ্যোক্তারা পথে বসবেন।
ইমরান হোসেন মিলন