![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশে পেপ্যালের সেবা কবে চালু হবে সেটি নির্ভর করছে কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তির অনুমতি পাওয়া ব্যাংকগুলোর হাতে। এখন ব্যাংকগুলো বাকি প্রক্রিয়া যত দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে পারবে, তত তাড়াতাড়ি এ সেবা চালু হবে।
সোমবার বিকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে পেপ্যাল নিয়ে জিজ্ঞাসায় এ কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা। তিনি বলেন, বহুল কাঙ্খিত এ সেবা চালুর দিনক্ষণ এখন ব্যাংকগুলোর হাতেই।
ইবিএল-বেসিস কো-ব্র্যান্ডেড ইউএসডি মাস্টারকার্ড উদ্বোধনের ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তিনি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানের পরে কবে পেপ্যাল চালু হবে এমন জিজ্ঞাসায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, কয়েক মাস আগেই কয়েকটি ব্যাংককে পেপ্যালের সঙ্গে চুক্তির অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখন তারা চালু করতে পারলেই গ্রাহকরা এ সেবা পাবেন।
ইবিএল-বেসিস কো-ব্র্যান্ডেড ইউএসডি মাস্টারকার্ডে দেশের বাইরে ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচের অনুমতির বিষয়টি উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এটির অনুমতি দেয়ার বেশি সময় হয়নি। এখন তারা সেবাটি চালু করে ফেলেছে। পেপ্যালের বিষয়টিও ব্যাংকগুলো দ্রুত করতে পারে।
চুক্তির অনুমতি জুম মাধ্যমে পেপ্যালের সেবা চালুর বিষয়ে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘হ্যা’।
চলতি বছরের মার্চে সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী, রূপালী ব্যাংকের সঙ্গে সোশ্যাল ইসলামী এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংককে এ সেবার জন্য অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে দেশে জুম মাধ্যমে পেপ্যালের সে সেবা চালু হবে। জুম পেপ্যালের অধিগ্রহণ করা একটি কোম্পানি। এক সঙ্গে হওয়ার আগে এটি আমেরিকাভিত্তিক অনলাইন রেমিট্যান্স কোম্পানি হিসেবে সুপরিচিত ছিল।
এই উদ্যোগে রেমিট্যান্স আহরণ এবং আউটসোর্সিংয়ের অর্থ সহজে দেশে আনার উপায় নেয়া হবে।
সোমবারের এই অনুষ্ঠানে শুভংকর সাহা বলেন, ইইএফ ফান্ডের অন্যতম খাত ছিল আইটি খাত। এ খাতে জাতীয় পর্যায়ে উঠে এসেছে, বড় হয়েছে এমন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এই ফান্ডের মুলধন সহায়তা ছিল।
‘যখন থেকে আইটি সেক্টর ডেভলপ হয়েছে এবং আমাদের দেশে রপ্তানি ও আমদানির যে প্রয়োজন পড়েছে সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মু্দ্রা নীতিমালার ক্ষেত্রে পৃথক নজর, আলাদা অগ্রাধিকার দিয়ে লিবারাইজেশন করেছে।’
তিনি জানান, ‘আমরা এখন ব্যাংকগুলোকে অনলাইন করেছি। অনলাইনের বাইরের অল্প কয়েকটি ব্যাংকের ব্র্যাঞ্চ রয়েছে। আমাদের আন্ত:ব্যাংক লেনদেন একেবারে অটোমেটিক করেছি, সেখানে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার করছি এবং সেটিকে আপগ্রেড করবো আগামীতে, যেটি এ বছর সেপ্টেম্বরের মধ্যে হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমাদের কার্ড ট্রানজিকশন অনেক বেড়েছে। আমাদের ডেবিট কার্ড আছে এক কোটির বেশি, ক্রেডিট কার্ডও নয় লাখের বেশি। গত মার্চ মাসে শুধু কার্ডে ট্রানজিকশন হয়েছে ১২’শ কোটি টাকা। কিন্তু এই অংশ যথেষ্ট নয়, আমাদের এটি বাড়াতে হবে।’
আল-আমীন দেওয়ান