![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : কম্পিউটার প্রোগ্রামিং জানলে বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে চাকরির অভাব হবে না। এমনকি এসব প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্বের স্বনামধন্য প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় নামবে বলে বলেছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ২০১২ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের বৃষ্টি শিকদার নামের স্কুল পড়ুয়া একটি কিশোরী মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সে শুধুমাত্র নিজের প্রচেষ্টায় গুগলে সার্চ করে করে প্রোগ্রামিং শিখেছে এবং বিভিন্ন স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে থাকে।
গত দেড় দুই বছর আগে বৃষ্টি শিকদারের সঙ্গে পরিচয় জানিয়ে বলেন, তারপর আমি শুনলাম বিশ্বের যতো বড় বড় নামকরা ইউনিভার্সিটি আছে এমআইটি, হার্ভাড, স্ট্যামফোর্ড সবগুলো ইউনিভার্সিটি তাকে পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত সে গুগলে ইন্টার্নশিপ করছে, পাশাপাশি এমআইটিতে পড়াশোনা করছে। আমাদের মেধার কোনো ঘাটতি নেই। শুধু দরকার একটা প্লাটফর্ম, একটু সুযোগ করে দেওয়া।
এই সুযোগ তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সবসময় দেবে বলেও জানান তিনি। আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বে যে ২০ থেকে ৩০ লাখ প্রোগ্রামার লাগবে তার উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক দেশ থেকে তৈরির কথাও বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, বাংলাদেশে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রোগ্রামিংয়ের আন্তর্জাতিক নানা আয়োজনে আমাদের সফলতা রয়েছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য বিশেষ করে মেয়েদের আরো এগিয়ে আসতে হবে যাতে করে বাংলাদেশের মেধাবী মেয়েরাও আন্তর্জাতিক ভাবে সফলতা দেখাতে পারে।
সারাদেশের ৭৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১১৭টি নির্বাচিত দল থেকে প্রতিযোগিতার শেষ পর্যন্ত অংশ নিয়েছে ১০২টি দল। সেখান থেকে ১৫টি দলের ৪৫ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য আগামী ১৭ থেকে ২০ মে ঢাকায় আবাসিক ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে।
যারা হলেন বিজয়ী
চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় সাতটি সমস্যার মধ্যে ছয়টির সমাধান করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ‘চুয়েট ডায়মন্ড অ্যান্ড রাস্ট’ দল।
ছয়টির সমাধান করে প্রথম রানার আপ হয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ‘এনএসইউ লা লা ল্যান্ড’। পাঁচটির সমাধান করে দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ‘চুয়েট গার্লস আর পার্লস’।
বিজয়ী দলকে ৫০ হাজার টাকা, প্রথম রানার আপ ৩০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার আপ ২০ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়।
এছাড়াও সেরা ১০টি দলকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ‘ব্র্যাকু_টিএসপি’, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি স্কুলের ‘আরইউ স্কুল পোলারাইস’ এবং ঢাকা সিটি কলেজের ‘ডিসিসি ফ্লেমিং গার্লস’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত প্রতিযোগিতার সহযোগী আয়োজক ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সৈয়দ আখতার হোসেন, জীন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব মাহবুবা পান্না, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সহ-সভাপতি লাফিফা জামাল, সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসানসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ এম ইসলাম।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে বাস্তবায়ন সহযোগী বিডিওএসএন ও জাজিং প্লাটফর্ম ছিল কোড মার্শাল এবং সহযোগী আয়োজক ছিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
ইমরান হোসেন মিলন