ইন্টারনেটের দাম কমাতে কস্ট মডেলিংয়ে বিটিআরসিকে এক মাস সময়

internet-techshohor

আল-আমীন দেওয়ান, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : গ্রাহকের কাছে কম দামে ইন্টারনেট দিতে বিটিআরসিকে এক মাসের মধ্যে ‘কস্ট মডেল’ দিতে বলা হয়ছে।

এর আগে ২০১৬ সালের শুরুতে এই কস্ট মডেল তৈরির উদ্যোগ নিলেও এখনও তা হয়নি। চলতি বছরের ২৭ মার্চ ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির সভায় সংস্থাটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে এই মডেল তৈরি করে তা জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিটিআরসির প্রতিনিধি কমিটিকে জানান, গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার মূল্য কমাতে বিটিআরসির যে কস্ট মডেল উপস্থাপনের কথা ছিল তা এখনও প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি।

Techshohor Youtube

এরপর কমিটি সংস্থাটিকে এই নির্দেশনা দেয়। বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে বিটিআরসির সঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকেও বলা হয়েছে।

internet

এই সার্ভে হলে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অপারেটরের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ খরচ সম্পর্কে নিয়ন্ত্রক সংস্থা পরিষ্কার ধারণা পাবে। এরপর তার ওপর ভিত্তি করেই মোবাইল ফোন অপারেটর এবং অন্যান্য অপারেটরদের প্যাকেজ অনুমোদন দিতে পারবে তারা।

এখন পুরোপুরি ধারণাগত অবস্থান থেকে ইন্টারনেট প্যাকেজের অনুমোদন দেয়া হয়। এক্ষেত্রে আগের প্যাকেজের তথ্য এবং খরচকেই মূলত বিবেচনায় নেয়া হয়ে থাকে।

এর আগে ভয়েস কলের ক্ষেত্রে কস্ট মডেলিং করেছে বিটিআরসি। ইন্টারনেট ডেটার ক্ষেত্রে কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও শেষ পর্যন্ত কস্ট মডেলিং আর করা হয়ে ওঠেনি। সর্বশেষ ২০১৬ সালের শুরুতে উদ্যোগ নেয়া হয় কিন্তু সেটা ১৩ মাসেও হয়নি।

মাঝে একবার আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের কাছে এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ পরামর্শক চেয়েছিল বিটিআরসি। কিন্তু বিনা খরচায় আইটিইউ এই পরামর্শক দিতে চায়নি।

অনেক আলোচনার পর প্রায় ত্রিশ লাখ টাকা খরচের মাধ্যমে আইটিইউ থেকে পরামর্শ আসার কথা ছিল। কিন্তু সেটি অগ্রগতি আর জানা যায়নি।

বিটিআরসি কর্মকর্তারাই জানিয়েছেন, উন্নত বিশ্বের কোনো দেশই কস্ট মডেলিং ছাড়া ইন্টারনেটের প্যাকেজ সাজায় না। এক্ষেত্রে একেক দেশ একেক পদ্ধতি অবলম্বন করে। কিন্তু অপারেটরদের খরচ, বিনিয়োগ এবং লাভের অংক ধরেই পরে প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

*

*

আরও পড়ুন