বিমানে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট বহনে নিষেধাজ্ঞা

Plan-laptop_Tablet-techshohor

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ব্রিটেনও মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি মুসলিম দেশ থেকে আসা বিমানে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট বহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে। এমনকি কেবিনে বড় আকারের স্মার্টফোন বহনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে দেশ দুটি।

ইসলামিক স্টেট বা আইএস ‘জঙ্গিরা’ এসব ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে বিস্ফোরক বহন করছেন এমন অবিযোগ তুলে মুসলিম দেশগুলোথেকে আসা বিমানে এই নিয়েধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশ দুটি।

যুক্তরাজ্যের আগে আটটি দেশের সরাসরি ফ্লাইটের ওপর এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে মার্কিন সরকার এবং এগুলো সবই মুসলিম দেশ।

Techshohor Youtube

Plan-laptop_Tablet-techshohor

এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে তুরস্ক, লেবানন, জর্ডান, মিশর, তিউনিসিয়া, কাতার, কুয়েত ও সৌদি আরবের এয়ারলাইন্স।

এসব দেশ থেকে আসা এয়ারলাইন্সকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চারদিন সময় দেওয়া হয়েছে।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের একজন ব্যবসায়ী ইব্রাহীম কস্কুন বলছেন, আজকের দুনিয়াতে এই সিদ্ধান্ত একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

বিমান যাত্রীদের অনেকেই ল্যাপটপ বা ট্যাবলেটে গানা শোনেন বা সিনেমা দেখেন। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বহনই করতে পারবেন না যাত্রীরা।

তিনি বলছেন, আজকের দিনে প্রযুক্তির অগ্রগতির সময়ে এমন সিদ্ধান্ত খু্ব ভয়াবহ। আজকাল সবার কাছেই একটা ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট থাকে। যা তারা নানা ধরনের কাজেই ব্যবহার করে। এমন সিদ্ধান্তের আমি নিন্দা করছি।

মিশরের একজন নাগরিক আহমেদ র‍্যামজি বলছেন, এটি একটি অর্থহীন সিদ্ধান্ত। এ ধরের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কখনোই সন্ত্রাস বন্ধ করা যাবে না।

ব্রিটিশ সরকার বলছে, বিমান যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আর মার্কিন সরকার বলছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো যাত্রীবাহী বিমানকে ইদানীং অনেক বেশি টার্গেট করছে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র শন স্পাইসার বলছেন, গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বাণিজ্যিক বিমানগুলোকে টার্গেট করতে নানা রকম নতুন উদ্ভাবনী কায়দা ব্যবহার করছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে শুধুমাত্র কয়েকটি দেশের ওপর এটি আরোপ হচ্ছে বলে অনেকে এটিকে বর্ণবাদী আচরণও বলছেন।

বিবিসি বাংলা থেকে

*

*

আরও পড়ুন