দশমিক পাঁচ শতাংশ সিমের নিবন্ধন সঠিক হয়নি

tarana-halim-new-TechShohor
ফাইল ছবি

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বায়েমেট্টিক পদ্ধতিতে সাড়ে ১১ কোটি সিমের নিবন্ধন হলেও এর মধ্যে দশমিক পাঁচ শতাংশ সিমের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কিছু ঝামেলা আছে বলে স্বীকার করেছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বায়েমেট্টিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের ফলে আইন শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, এর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যেসব অপরাধ হতো বায়েমেট্টিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের পরে তা অনেকটাই কমে এসেছে।

Techshohor Youtube
tarana-halim-new-TechShohor
ফাইল ছবি

গত ৩১ মে বায়েমেট্টিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শেষ হয়েছে তখন ১১ কোটি সিমের নিবন্ধন হয়। এর শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ ধরলেও প্রায় ছয় লাখ সিমের নিবন্ধনের সমস্যা আছে বলে প্রতিয়ামান হয়।

তবে একই সঙ্গে কম্পিউটারে ‘স্পুফিং’ বা ‘মাস্কিং’র মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একটি গোষ্ঠী মোবাইল ফোনে কল করছে, পাশাপাশি প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকের কাছে অর্থ দাবি ও হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বায়েমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের পর বিটিআরসিতে এই চার মাসে মাত্র সাড়ে তিনশ অভিযোগ জমা পড়েছে। যার মধ্যে মাত্র দুটি আছে সিম সম্পর্কিত।

এখন সমস্যা স্পুফিং বা মাস্কিং কল

এখন সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম স্পুফিং’ বা ‘মাস্কিং পদ্ধতিতে সংঘটিত হওয়া কিছু অপরাধ হচ্ছে বলে বলেন তারানা হালিম।

একটি বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে অন্যের নম্বর নকল হয়ে আসা ‘স্পুফিং’ বা ‘মাস্কিং’ কল করলে সেটি বায়োমেট্রিক ভেরিফায়েড সিম কিনা-তা বোঝা যাবে জানিয়ে স্পুফিং নম্বরে সঙ্গে সঙ্গে কল করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইলভিত্তিক অপরাধ কমলেও ইদানিং নতুন এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, গ্রাহকরা বিভ্রান্তিতে ভুগছেন। বায়োমেট্রিকের পর বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি হচ্ছে-‘স্পুফিং’ বা ‘কল মাস্কিং’। ‘স্পুফিং’ বা ‘মাস্কিং’র সঙ্গে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের কোনো সম্পর্ক নেই, এটি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই। এটি কম্পিউটারে জেনারেট করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর সমাধান হচ্ছে, যিনি এ ধরনের কোনো কল পাবেন, সেই নম্বরে কল করে আসলে কলটি স্পুফিং না বায়োমেট্রিক ভেরিফাইড করা সিম থেকে এসেছে, তা জানা যাবে।

আমরা অনুরোধ করবো, কোনো চাঁদাবাজি বা টাকা লেনদেন বা টাকা কেটে নেবো, পিন কোড দেন-এ ধরনের কোনো কল পেলে তিনি যদি ওই নম্বরটিতে আবার ফোন করেন তাহলে যিনি অন্যপ্রান্ত থেকে ফোন ধরবেন তিনি বায়োমেট্রিক সিমের মালিক, মাঝের ঘটনাটি ঘটিয়েছেন যারা ওই নম্বরটি নিয়ে স্পুফিং করেছেন বলেও জানান তিনি।

‘স্পুফিং’ কল কীভাবে করা যায় তা সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী। এসময় একটি মোবাইল থেকে একজন সাংবাদিকের নম্বরে কল করা হয়, পরে ওই নম্বরে (স্পুফিং) কল করলে সেটি প্রতিমন্ত্রীর কাছে চলে আসে।

স্পুফিংয়ের নতুন এই সমস্যাটিকে গুরুত্ব দিয়ে বিটিআরসি’র সঙ্গে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানান তারানা হালিম।

ইমরান হোসেন মিলন

*

*

আরও পড়ুন