![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : অনলাইনে ড্রাগস (মাদক ও ঔষধ) বিক্রিতে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। গবেষণা বলছে, যুক্তরাজ্যের ডিলাররা অনলাইনে ড্রাগস বিক্রি করে সবচেয়ে বেশি আয় করে থাকে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্রিটেনের ডিলাররা ২২ লাখ ডলারের বেশি অনলাইনে ড্রাগস বিক্রি করেছে। যা বিশ্বের মোট অনলাইন ড্রাগস মার্কেট শেয়ারের ১৬ শতাংশ।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিলাররা তাদের দেশে ৫০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ ড্রাগস বিক্রি করে বৈশ্বিক অনলাইন শেয়ার বাজারের ৩৬ শতাংশ দখল করে আছে।
নেদারল্যান্ড সরকার দ্বারা পরিচালিত ও বিশেষিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান র্যান্ড ইউরোপ বিশ্বে আটটি বড় অনলাইনে ড্রাগস বিক্রির মার্কেটপ্লেস চিহ্নিত করেছে। যেগুলোকে অন্ধকার ওয়েব (ডার্ক ওয়েব) বলে বর্ণনা করা হয়।
এই অনলাইন শপিং সাইটগুলোতে শুধু একটি বিশেষ ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ঢোকা যাবে। মূলধারার কোনো ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন থেকে তাতে লগইন করা যাবে না বলে জানায় কমিশন।
র্যান্ড ইউরোপ ২০১৩ সালে ডার্ক ওয়েবের খোঁজ পায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ প্রথম ড্রাগস অনলাইন মার্কেটপ্লেস সিল্ক রোডের সন্ধান পেয়ে তা বন্ধও করে দেয়।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র অনলাইন ড্রাগস মার্কেটের ৩৫.৯ শতাংশ শেয়ার দখল করে ছিল। এছাড়াও যুক্তরাজ্য ১৬.১, অস্ট্রেলিয়া ১০.৬, জার্মানি ৮.৪ এবং নেদারল্যান্ড দখল করেছিল ৭.৮ শতাংশ শেয়ার।
যেসব ড্রাগস বিক্রি হয় তার মধ্যে ভাং ৩৩ শতাংশ, প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ ১৯ শতাংশ, বিভিন্ন উত্তেজক ১৮ শতাংশ, এক্সট্যাসি ধরনের ড্রাগস ১২ শতাংশ এবং মানসিক ঔষধ ১১ শতাংশ।
তবে গবেষকরা বলছেন, অনলাইনে যেসব ড্রাগস অর্ডার করা হয় তার বেশিরভাগই কোনো পার্টির জন্য আনন্দ করতে। বিশেষ করে গাঁজা, ভাং ই বেশি।
র্যান্ড বলছে, ছদ্মনামে ও পরিচয়ে ড্রাগস কিনতে অনেকেই অফলাইনের চেয়ে অনলাইনকে বেছে নেয়। উদাহরণস্বরূপ নেশার জন্য কারো হেরোইন প্রয়োজন। তখন তিনি অফলাইনের চেয়ে অনলাইনে পারচেজ করতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। এতে তিনি নিরাপদও মনে করেন বলে বলছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
বিবিসি অবলম্বনে ইমরান হোসেন মিলন