![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : যে দেশের সরকার যতো বেশি প্রযুক্তি নির্ভর, সে দেশে ততো বেশি আউটসোর্সিং কাজে জনবল তৈরি করা সম্ভব হয়। আর এখন এই সুযোগ গ্রহণ করতে হবে। সেটা যেকোনো দেশই নিতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অফুরান। কারণ এই দেশের রয়েছে বিশাল পরিমাণে তরুণ মেধাবী। যারা চাইলেই এই খাত থেকে আয় অল্প সময়ে অনেক বাড়াতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন ‘গভর্নমেন্ট প্রসেস আউটসোর্সিং : গ্লোবাল প্রাকটিস’ নামে সেমিনারে অংশ নেওয়া বক্তরা।
প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বারের মতো দুদিনব্যাপী বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা।
তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে কিনোট উপস্থাপন করেন রাজমোহন ভাইরামুথু। ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিষ্ঠান সিএনসিডাটা ডট এলএলসি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজমোহন বিশ্বব্যাপী বিপিও কাজের একটা ধারণা দেন। সেখানে বাংলাদেশের ভালো করার অনেক সম্ভাবনা আছে বলে তার উপস্থাপনায় তুলে ধরেন।
পরে তথ্যপ্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বিপিওতে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, বাংলাদেশ সরকার এখন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটাইজড করতে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকার প্রায় ২৫ হাজার ওয়েবসাইট তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যতো প্রযুক্তি নির্ভর হবে, বিপিওতে অভ্যন্তরীণ সম্ভাবনা ততো বাড়বে। তবে সরকার এই খাতকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে এলআইসিটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে এই খাতে কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার।
তবে বিপিও খাতে যেনো বিদেশী প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে পারে সেজন্য সরকার সবধরনের সুবিধা দেবে। এজন্য ইতোমধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ট্যাক্স ভ্যাট কামানো হয়েছে বলে জানান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন থলন ইনকোর্পোরেটের চেয়ারম্যান ও সিইও অবিনাশ, যুক্তরাষ্ট্রের ডাটাসফট সিস্টেম বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) দ্বিতীয়বারের মতো এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
ইমরান হোসেন মিলন