![]() |
শামীম রাহমান, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ইন্টারনেট কোটিপতি ইউরি মিলনার পৃথিবীর রহস্য ভেদ করতে চান। পৃথিবীতে মানুষ ছাড়াও আর কোনো বুদ্ধিমান প্রাণ আছে কিনা জানতে চান সেটি। ভিন্ন গ্রহেও মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীর সন্ধান করছেন তিনি।
টেক বিলিনিয়ার হিসেবেই পরিচিত মিলনার। বিশ্বের বড় বড় সব টেক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ আছে তার। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ০.১১ শতাংশ, গ্রুপনে ১.৬ শতাংশ, ক্ষুদে ব্লগিং সাইট টুইটারে ১.৪১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
প্রযুক্তিময় এই যুগে এসব প্রতিষ্ঠানে তার বিনিয়োগ নিঃসন্দেহে ঈর্ষণীয়। তবে ইউরি মিলনারের এই বিনিয়োগ বাড়াতে তেমন মনোযোগ নেই। পৃথিবীর রহস্য ভেদের নেশা চেপে ধরেছে তাকে। বিশেষ করে, মানুষ ছাড়াও বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে আর কোনো বুদ্ধিমান প্রাণী আছে কি নেই -তা খুঁজে বের করতে চান তিনি।
গত বুধবার সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত ফরচুন’স ব্রেইনস্ট্রোম টেক কনফারেন্সে নিজের এই ইচ্ছার কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, আমি একটি অতিপার্থিব সংকেত তৈরিতে সহযোগিতা করতে চাই। এটি পৃথিবীতে মানুষ ছাড়াও অন্য বুদ্ধিমান প্রাণী সম্পর্কে তথ্য খুঁজে পেতে সহযোগিতা করবে। পৃথিবীর বাইরেও বুদ্ধিমান প্রাণীর সন্ধান করবে এই সিগন্যাল।
কিন্তু মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীর সন্ধান পৃথিবী বা পৃথিবীর বাইরে কী পাওয়া সম্ভব? মিলনার বলছেন, অবশ্যই সম্ভব। তিনি নাসার তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে দুই হাজার কোটি গ্রহ রয়েছে যেগুলোতে পৃথিবীর মতো পানি রয়েছে। রয়েছে হাজার হাজার কোটি ছায়াপথ। এগুলোর কোথাও মানুষের মতো প্রাণী অবশ্যই থাকতে পারে।
তিনি বলেন, এমনটা তো হতেই পারে যে, কোনো গ্রহে আমাদের মতো মানুষ বাস করছে। আমরা যে ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করছি হয়তো তারাও একই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসছে। যদি এমনটি হয় তাহলে আমাদের সেই ‘অতিপার্থিব সংকেত’ সেটি শনাক্ত করতে সক্ষম হবে।
এই সংকেতটি তৈরি করা ছাড়াও মহাকাশে ছোট ছোট স্পেস শিপ পাঠানোরও পরিকল্পনা রয়েছে তার। এগুলোও ঠিক একই উদ্দেশ্যে মহাকাশে ঘুরে বেড়াবে।
তিনি বলেন, আমাদের খুঁজে বের করতে হবে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে আমরা কী একাই রয়েছি নাকি অন্য গ্রহেও আমাদের মতো কেউ রয়েছে। যদি অন্য গ্রহে আমাদের মতো কেউ থেকে থাকে তাহলে আমাদের উচিত হবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা।
ইউরি মিলনারের এই প্রয়াস যদি সফল হয়, যদি পৃথিবীর বাইরেও বুদ্ধিমান প্রাণীর সন্ধান মেলে সেটি নিঃসন্দেহে প্রযুক্তি দুনিয়ায় বিনিয়োগের চেয়ে সহস্রগুণ ভালো কাজ হবে। বলতেই হচ্ছে, বিচক্ষণ কোটিপতির যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে এই উদ্যোগ।
ফরচুন অবলম্বনে