![]() |
টেক শহর ডেস্ক : বেশ প্রত্যাশা নিয়ে বাজারে আসলেও তেমন উত্তাপ ছড়াতে পারছে না স্যামসাংয়ের স্মার্টওয়াচ গ্যালাক্সি গিয়ার। শুরুতে একে ভবিষ্যতের স্মার্ট ডিভাইস বাজারের গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হলেও এখন বিশেষজ্ঞরা সুর পাল্টেছেন। তারা বলছেন, মাইক্রোসফট সারফেসের মতোই গ্যালাক্সি গিয়ার ব্যর্থ হতে চলেছে।
অবশ্য স্মার্টওয়াচের বাজার দখলের জন্য গিয়ারে সর্বশেষ প্রযুক্তির ছোঁয়া দিতে কার্পণ্য করেনি স্যামসাং। ১.৬ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন, ৪ গিগাবাইট স্টোরেজ, ২৪ ঘণ্টার ব্যাটারি, ১.৯ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, স্পিকার ও মাইক্রোফোন সমৃদ্ধ এ ডিভাইসকে ঘড়ি আকৃতির স্মার্টফোন বললেও ভুল হবে না।
তবে এতোকিছু সত্ত্বেও একে কিন্তু স্মার্টফোনের পরিপূরক বলা যায় না। কারণ, গ্যালাক্সি গিয়ারের বেশিরভাগ ফিচার ব্যবহার করার জন্য হাতে ঘড়ির পাশাপাশি অবশ্যই পকেটে একটি স্মার্টফোনও থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, এ মুহূর্তে কেবল দুটি ডিভাইস সাপোর্ট করে এ গিয়ারকে- গ্যালাক্সি নোট থ্রি এবং নোট ১০.১। অবশ্য গ্যালাক্সি এস সিরিজের স্মার্টফোনগুলোর জন্য সাপোর্ট আসতে পারে শিগগিরই।
এ ছাড়া এ ঘড়ির সব ফিচারই যে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যাবে, তা-ও নয়। যেমন- মুখের কাছে হাত এনে কল করা ও কথা বলা বেশ অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। ভয়েসের মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও এটি নিয়মিত ব্যবহারের মতো যথেষ্ট সহজ নয়। অ্যালার্ম, মেসেজ, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য থাকলেও এসব কাজ যেখানে স্মার্টফোনে সহজতম উপায়ে করা যায়, সেখানে ঘড়ি ব্যবহার করতে চাইবেন না অনেকেই। এ ছাড়া নির্দিষ্ট যেসব অ্যাপস এতে ব্যবহার করা যায় সেগুলোতে অভ্যস্ত হতেও বেশ সময় লাগবে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, গ্যালাক্সি গিয়ার আপনাকে এমন কিছু দিচ্ছে না, যা আপনি স্মার্টফোন থেকে ইতোমধ্যেই পাচ্ছেন না। তাই উচ্চমূল্য দিয়ে স্মার্টঘড়ি কিনতেও সায় কম ক্রেতাদের। বিশ্লেষকদের মতে, আরও সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য যুক্ত করার আগে স্মার্টওয়াচ প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছে খুব একটা জনপ্রিয়তা হয়তো পাবে না।
– সিএনএন অবলম্বনে শাহরিয়ার হৃদয়