![]() |
মোশাররফ রুবেল, অ্যাপ ডেভেলপার অতিথি লেখক : এমনটি ভাবার কারণ নেই আপনি লেখালেখির প্রথম দিক থেকেই খুব ভালো লিখবেন। যারা আজকে অনেক বড় ও জনপিয় ব্লগার হয়েছেন তারাও একদম প্রথমে খুব ভাল লেখেননি। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমেই ভালো লেখা ও জনপ্রিয় ব্লগ তৈরি হয়। আপনাকেও সেই পথ অনুসরণ করতে হবে।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, গাইতে গাইতে গায়েন। তেমনি আপনি লিখতে লিখতে লেখক হয়ে যেতে পারেন। প্রথম পর্যায়ে আপনার লেখা বিখ্যাত বা জনপ্রিয় ব্লগারদের তুলনায় অনেক খারাপ মনে হতে পারে। সাড়াও মিলবে কম। এটাকে স্বাভাবিক হিসেবেই নিতে হবে।
আপনি যদি নিয়মিত অনেক বেশি মৌলিক কনটেন্ট লিখতে থাকেন তাহলে সেটা পরে ভালো লিখতে সাহায্য করবে। নিজের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে। ব্লগিং থেকে আমি ভালো কিছু করতে পারি- এমন বিশ্বাস আপনাকে সফলতা দেবে। আরও ভালো করতে ১০ টিপস আপনাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
গুগুল এলার্ট সেট আপ
কি লিখবেন- লেখার বিষয় খুঁজে পাচ্ছেন না তাহলে গুগুল এলার্ট সেট করে নিতে পারেন। এটি আপনাকে সমসাময়িক বিষয় ও ঘটনাগুলো জানতে সাহায্য করবে।
এতে করে আপনি জানতে পারবেন বর্তমানে কোন বিষয়গুলো ট্রেন্ডিং আছে এবং কোনগুলো লেখার টপিক হতে পারে। মানুষ কোন বিষয় জানতে আগ্রহী তা বুঝতে সহায়তা করবে এটি। এভাবে পেতে পারেন লেখার জন্য কাঙ্খিত বিষয়।
একই রকম ব্লগ সাবস্ক্রাইব
আপনি যে রকম ব্লগে লিখছেন সেটির মতো ব্লগ সাবস্ক্রাইব করা। এর মাধ্যমে আপনি একই বিষয়ে সমসাময়িক কি ঘটছে সেটি জানতে পারবেন। অন্যদের সর্বশেষ ব্লগিংয়ের বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে তা সহায়তা করবে।
এতে করেও আপনি ধারণা পাবেন, আপনার কি লেখা উচিত। একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আপনার প্রতিযোগী ব্লগার যা লিখছেন তা নিয়ে হবহু লিখতে যাবেন না। তাদের লেখা যদি কোনো সমসাময়িক বিষয়ের উপর হয়, তাহলে আপনি সেটির অন্য দিক নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, অন্য ব্লগ যদি বর্তমানে কোনো সমস্যা নিয়ে লেখে তাহলে আপনি সেটির সমাধান নিয়ে লিখতে পারেন। কারণ মানুষ তখন তা পড়তে আগ্রহী হবে।
পাঠক জরিপের ব্যবস্থা রাখা
আপনার লেখা যেসব পাঠক পড়বেন তারা সবসময় চান মতামত দিতে। তাই সে ব্যবস্থা রাখা ভালো। আপনি যদি ফিডব্যাক রাখার ব্যবস্থা রাখেন তাহলে সেটা পাঠক ও লেখক উভয়ের জন্য ভালো হবে। উভয়ের মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরি হবে।
কারণ ভালো ফিডব্যাক আপনাকে আরও ভালো লিখতে উৎসাহী করবে। অন্যদিকে পাঠক ব্লগের কার্যক্রমে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত হবেন।
আপনি সপ্তাহে একটি করে প্রশ্ন করতে পারেন- পাঠকরা কি ধরণের লেখা চায়। এতে আপনার টপিক বাছাই করা সহজ হবে।
গেস্ট লেখককে আমন্ত্রণ জানানো
আপনার ব্লগের জন্য পোস্ট লিখতে গেস্ট ব্লগারকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। এর ফলে পাঠক নতুন লেখককে পেয়ে আনন্দ পাবে। এই ফুরসতে আপনি লেখার জন্য নতুন আইডিয়া তৈরি করতে পারবেন। এখন অনেকেই ব্লগ লিখতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তাই গেস্ট লেখক পাওয়া কঠিন কিছু হবে না।
জিজ্ঞাসার মাধ্যমে টপিক বাছাই
আপনি শুধু নিজে চিন্তাভাবনা করে কিংবা নেট সার্চ করে ভালো টপিক সংগ্রহ করে নিতে পারেন, তা নয়। মাঝে মাঝে বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয় স্বজনকে জিজ্ঞাসা করেও তারা কি পড়তে ভালোবাসেন তা জেনে নিতে পারেন। তাদের কাছ থেকেও পেতে পারেন দারুণ সব টপিক।
নিজের ভুল নিয়ে লেখা
মানুষ সাধারণত ভুল নিয়ে লেখা পড়তে বেশি পছন্দ করে। কারণ তারা সেটা থেকে শিখতে পারে। তা ছাড়া, একটা কথা তো আছেই ব্যর্থতাই সফলতার চাবিকাঠি। তাই আপনার করা শেষ ভুলটাই হয়ে যেতে পারে লেখার টপিক।
হ্যাঁ, তবে অবশ্যই পাঠকদের জানাতে ভুলবেন না যে সে ভুল থেকে আপনি কিভাবে শিখেছেন।
সমাধানের জন্য আলোচনা করা
লেখালেখি করাটা আপনার সম্পূর্ণ নিজস্ব কাজ। এটা নিয়ে বাইরে আলোচনা না করলে মানুষ জানতেও পারবে না, কি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে আপনার মধ্যে। তাই যে বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন এবং সেটির সমাধানে পৌঁছাতে পারছেন না, তা নিয়ে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারবেন।
আপনি যেসব আইডিয়া নিয়ে ভেবেছেন বা ভাবছেন সেগুলো কেমন হতে পারে কিংবা এসব ভাবনার সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না সেটি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এমন আলোচনা আপনার সৃজনশীলতাকে বিকশিত হতে সহায়তা করবে।
অনেক সময় এমনও দেখা যায় ব্লগারদের ব্যক্তিগত ঝুট ঝামেলার কারণে চিন্তাভাবনা এলোমেলো হয়ে পড়ে কিংবা লেখায় মনোযোগ দিতে পারেন না। আপনার ভিতরের এমন সংকট নিয়ে কাছের বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। এতে সমস্যাগুলোর সমাধান বের হয়ে আসবে। আপনি ভিন্ন ভাবে চিন্তা করতে শিখবেন।
বিতর্কিত বিষয় নিয়ে লেখা
আপনি যদি কোনো হট টপিক নিয়ে লিখতে চান, তাহলে বর্তমান সময়ের বিতর্কিত বিষয় নিয়েও লিখতে পারেন। বিতর্কিত বিষয় মানুষের মনোযোগ টানতে সাহায্য করে। এ কারণে সমসাময়িক আলোচিত বা বিতর্কিত বিষয়ের বিভিন্ন দিক আপনার লেখার আইডিয়া হতে পারে।
পাঠকদের প্রশ্ন করুণ
আপনার আশেপাশে যদি কোনো বিতর্কিত বিষয় থাকে এবং সেটির সমাধান নিয়ে আপনি সন্দিহান থাকেন তাহলে সেটা নিয়ে পাঠকদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন । পাঠক এ বিষয়ে কি মনে করেন তা আপনাকে নতুন কিছু লিখতে সহায়তা করবে।
একই সঙ্গে আপনার প্রতিযোগী ব্লগাররা কি সমাধান দিয়েছে তা পাঠকদের সামনে তুলে ধরতে পারেন। এভাবে পাঠকদের আপনার চিন্তার সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারেন এবং প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যেতে পারেন।
ঘোরাঘুরির মাধ্যমে আইডিয়া পাওয়া
আপনার ভ্রমণপ্রিয় স্বত্তাকে জাগিয়ে তুলুন। টানা কাজে বিরতি দিয়ে দূর-দূরান্তে ঘুরতে চলে যান। এতে নতুন তখন খেয়াল করা যে কে কি করছে এবং তার থেকে কি টপিক পাওয়া যেতে পারে লিখার জন্য। আমাদের আশে পাশে অসংখ্য মানুষ তাই তাদের কাজ -কর্মও ভিন্ন । এইসব কিছু খেয়াল করে আপানার ব্লগের টপিক হতে পারে।
আরও পড়ুন
Nice
অনেক ভাল লাগল ভাইয়া
Dear Reader , Thanks for your comment . Take care.