![]() |
মোশাররফ রুবেল, অ্যাপ ডেভেলপার অতিথি লেখক : এখন অনেকেই ব্লগিং করছেন। লেখা বা অন্যান্য কনটেন্টও ভালো হচ্ছে। এরপরও আহামরি ভিজিটর মিলছে না ব্লগে। ছোট কিছু ব্যাপার পরিহার করায় ভিজিটর হারাতে হচ্ছে অধিক সংখ্যায়। ছোট ছোট কিছু টিপস অনুসরন করলে অনায়েসে ব্লগে যেমন পাওয়া যাবে ভিজিটর, তেমনি পুরনোদেরও ধরে রাখা যাবে।
শুধু কি তাই, আরও জনপ্রিয় করতে কি করা উচিত সেটা নিয়েও কাজ করতে হবে। একজন ভিজিটর যেন একবার ব্লগে এসে চলে না যায় সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।
ভিজিটরকে বার বার ফিরিয়ে আনা, একটির পর একটি ব্লগের আর্টিকেলের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য করতে হবে কিছু কাজ। সেগুলো তুলে ধরতেই এ টিউটোরিয়াল।
আরও পড়ুন : ব্লগিংয়ে অ্যাডসেন্সের বিকল্প আয়ের পথ
ব্লগ শুধু আপনার কথা নিয়ে নয়
হ্যাঁ- ব্লগ শুধু আপনার চিন্তাকে ঘিরে যেন না হয়। ব্লগিং করার সময় আমরা অনেক সময় নিজের চিন্তা দিয়ে শুরু করি। ভিজিটরের সংখ্যা বেশি হলে এদের অনেকেই আপনার চিন্তা গ্রহণ নাও করতে পারে। ভিন্ন মতের ভিজিটর বেশি হলে তারা যাতে চলে না যান সেজন্য কৌশলী হতে হবে।
আপনার ব্লগ যদি ৫০ হাজার মানুষ অনুসরণ করেন, সেক্ষেত্রে তাদের এমন কিছু দিতে হবে যাতে সেটা তাদের কাছে উপকারী হয়, পড়তে আনন্দ পায় এমন কিছু নিয়ে হয়। আপনি সেলিব্রেটি না হলে এরা কেউ আপনার চিন্তার কথা শুধু শুনতে চাইবে না। তাই তাদের উপযোগী কনটেন্ট থাকতে হবে।
পাঠকদের ব্লগ পড়ার গুরুত্ব বোঝানো
মূলত এই ব্যপারটা হচ্ছে পাঠককে এমন কিছু টনিক দেয়া যাতে তাকে আপনার ব্লগ পড়তে আসতে হয়। যেমন ধরুন আপনি লিখছেন তথ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে, এখন একজন সাহিত্য প্রেমী বা ফুড লাভার কেন আপনার ব্লগ পড়বে- সে তো প্রযুক্তির মানুষ নয়।
তাই এ ধরনের পাঠকরা আপনার ব্লগে এলে তাদের ধরে রাখা যাবে এমন কনটেন্ট দিতে হবে। তাদের ভালো লাগার বিষয় বা ব্লগে আসার কারণ খুঁজে পায় তেমন কিছু থাকতে হবে।
এ বিষয়ের পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে সব ধরনের অডিয়েন্স টার্গেট করতে গিয়ে যেন মূল টপিক থেকে ব্লগ সরে না যায়। তবে তথ্যপ্রযুক্তির ব্লগ যেন তথ্যপ্রযুক্তি নিয়েই পাঠকদের সব দিতে পারে তা সর্ব প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে।
ফ্রেন্ডলি হতে হবে
খেয়াল রাখতে হবে সব কিছু যাতে একদম পানসে মনে না হয়। পাঠক যাতে মনে না করেন মানুষ নয়, রোবট লিখেছে এ আর্টিকেল। তাই একটু ফ্রেন্ডলি হতে হবে অবশ্যই।
তবে এ ক্ষেত্রে প্রথম পয়েন্টও খেয়াল রাখতে হবে সব কিছু আপনি কেন্দ্রিক না হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পাঠকদের অনুরোধের টপিক নিয়ে লেখা, পাঠকদের মন্তব্যের উত্তর দেওয়াও ফ্রেন্ডলি হওয়ার অংশ।
পাঠকদের সাথে ব্লগার এর ফ্রেন্ডলি সম্পর্ক ব্লগকে জনপ্রিয় করতে বেশ অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন : ব্লগিংয়ের জনপ্রিয় ৭ বিষয়, শুরু করুন এখনই
ম্যাটেরিয়ালস যেন সময় উপযোগী হয়
আপনি ব্লগের জন্য যা কিছু ব্যবহার করছেন, যেসব ম্যাটেরিয়ালস অনুসরণ করছেন- খেয়াল রাখতে হবে তা যেন সময় উপযোগী হয়। সময় উপযোগী বা টাইমিং ব্লগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যপার।
আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন তা পাঠক যদি নিজের সঙ্গে মেলাতে না পারেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার আর্টিকেল সময় উপযোগী হচ্ছে না।
পাঠক যে ব্যপারটা যে সময় আশা করছে সেটির উপর নির্ভর করে আপনি যেন সরবরাহ করতে পারেন সেই ব্যপারটি নিশ্চিত করতে হবে।
পাঠক আগ্রহের চুম্বকাংশ যেন প্রথমেই থাকে
শিরোনাম দেখার পর আর্টিকেল পড়ার জন্য পাঠকের মনে এক ধরনের প্রত্যাশা তৈরি হয়ে যায়। তারপর পাঠক যখন মূ আর্টিকেল পড়া শুরু করে তখন যেন প্রথম দুই লাইন পড়েই বুঝতে পারে লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ।
এ অংশেই পাঠককে বোঝাতে হবে সে যা চাচ্ছে সেটি কিংবা তার চেয়েও ভালো কিছু পেতে যাচ্ছে এ লেখায়। প্রথম দুই লাইন যদি ভালো কিছুর প্রতিফলন না ঘটায় তাহলে শুরুতেই পাঠক আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
তাই খেয়াল রাখতে হবে পাঠককে পুরোটি কনটেন্টে ধরে রাখতে শুরুতেই তার মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে। তিনি যা চাচ্ছেন তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেন প্রথমেই থাকে- যা তাকে পুরো লেখা বা পরের লেখাগুলো পড়তে আগ্রহী করে তুলবে।
আরও পড়ুন: