![]() |
শাহরিয়ার হৃদয়, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : পেশাদার ফটোগ্রাফারদের জন্য হাইএন্ডের একটি ডিএসএলআর নাইকন ডি৭০০০। ক্যানন ৬০ডি ও ৭০ডি এবং পেনট্যাক্স কে-৭ এর মতো বাঘা বাঘা ক্যামেরার সাথে পাল্লা দিতে এটি বাজারে এসেছিল। বেশ আগের ক্যামেরা হলেও এখনও বাজারে প্রতিদ্বন্দিতা বজায় রেখেছে এটি। তবে এর ব্যবহার পদ্ধতি সেমিপ্রো লেভেলের হওয়ায় নতুন ফটোগ্রাফারদের জন্য উপযোগী নয়।
ক্যামেরাটি দেখতে নাইকনের বেশিরভাগ ডিএসএলআরের মতোই। তবে আকারে কিছুটা বড়। ফলে অনেকের কাছে বেঢপ লাগতে পারে। তারপরও রাবার কোটেড গ্রিপ ও সুবিধাজনক থাম্ব রেস্টের ফলে হাতে ধরতে তেমন সমস্যা হবে না। ব্যাটারি ছাড়া এর ওজন দেড় পাউন্ড। এ ছাড়া পেছনে হাই রেজুল্যুশনের এলসিডি প্যানেল রয়েছে। সামনে আছে ফাংশন বাটন ও অটো ফোকাস অ্যাসিস্ট ল্যাম্প।
এ ধরনের ক্যামেরার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লেন্স। আপনি পছন্দের লেন্সতো লাগাতে পারবেন। বিল্ট-ইন লেন্স দিয়েও স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ চালাতে পারবেন। ১৮-১০৫ মিলিমিটার ও ২৭-১৫৭.৫ মিলিমিটার এ লেন্সে ভাইব্রেশন রিডাকশন প্রযুক্তি রয়েছে, যা স্থিরভাবে ছবি তুলতে সাহায্য করবে।
ক্যামেরার উপর দিকে যে মোড ডায়াল রয়েছে তা বদলানো যাবে। সিঙ্গেল ফ্রেম, লো স্পিড বা কন্টিনিউয়াস হাইস্পিড মোডে ছবি তুলতে পারবেন। তবে শুরুতে এটি ব্যবহারে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। ক্যাননের একই গোত্রের ক্যামেরাগুলোতে মোড ডায়াল ব্যবহার আরও সহজ।
এর ভিউ ফাইন্ডারটি খুবই চমৎকার। ফিল্ড অফ ভিউ ১০০ ভাগ পাওয়া যাবে। ক্যামেরার ডান পাশে দুটি এসডি কার্ডের স্লট রয়েছে। এসডি কার্ড দ্রুত রিড ও রাইট করার জন্য এতে আলট্রা হাইস্পিড (ইউএইচএস-১) নামে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া বামপাশে অডিও/ভিডিও, ইউএসবি ও এইচডিএমআই আউটপুট রয়েছে। আরও আছে মাইক্রোফোন ও জিপিএস ইনপুট।
এতে খুবই উচ্চ মানের ১৬.২ মেগাপিক্সেল সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। যা দিয়ে ৪৯২৮*৩২৬৪ পিক্সেল রেজুল্যুশনের ছবি তোলা যাবে। ছবির কোয়ালিটি চোখ ধাঁধাঁনোর জন্য যথেষ্ট। কালার, হোয়াইট ব্যালেন্স, মিটারিং নিখুঁত। হাই আইএসওতে চমৎকার পারফর্ম্যান্স দেবে। যদিও ডিএসএলআর দিয়ে ছবি তোলার ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফারের ক্রিয়েটিভিটির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তারপরও ক্যামেরা থেকে যত সুবিধা পাওয়া সম্ভব তার সবই দেবে নাইকন ৭০০০ডি।
স্থির ছবির পাশাপাশি ভিডিও করার ক্ষেত্রেও এটি চমৎকার ডিএসএলআর। ২৪ ফ্রেম রেটে ফুল আইচটি ভিডিও করা যাবে। এতে নতুন মডেলের ইএন-ইএল১৫ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি দিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক ফুল এইচডিতে ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। আর জেপিজি মিলিয়ে ৫০০ এর মতো ছবি তোলা যাবে।
সব মিলিয়ে বলতে হবে, যারা এন্ট্রি লেভেলের ফটোগ্রাফি শেষ করে পেশাদার কাজ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এটি পছন্দসই একটি ক্যামেরা। বর্তমানে এর দাম ৭৬ হাজার টাকা। সাথে তিন বছরের ওয়ারেন্টি রয়েছে।
এক নজরে ভালো
অসাধারণ পারফর্ম্যান্স
– দুটি এসডি কার্ড স্লট
– উন্নত ভিউ ফাইন্ডার
এক নজরে খারাপ
– আকারে অতিরিক্ত বড়
– দাম কিছুটা বেশি