![]() |
জামান আশরাফ, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটার ব্যবসা পরিচালনায় আলাদা নীতিমালা হবে। এ খাতকে ব্যবসাবান্ধব করার পাশাপাশি গ্রাহকদের ভোক্তা অধিকার রক্ষার বিষয়টি নীতিমালায় প্রাধান্য পাবে।
তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের নির্দেশনায় ইতিমধ্যে নীতিমালা তৈরির কাজে সহায়তা করতে কাজ শুরু করেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।
সম্প্রতি এক ই-কমার্স সাইটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ খাতের উদ্যোক্তারা এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে নীতিমালা করার আহবান জানান। ওই অনুষ্ঠানে তৎক্ষনাৎ প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে ই-ক্যাবের সহায়তা চান।
এরপর ই-ক্যাব নীতিমালার খসড়া তৈরি করতে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনের সভাপতি রাজীব আহমেদ।
সভাপতি জানান, তারা যেসব দেশে ই-কমার্স সফল হয়েছে সেখানকার নীতিমালা যাচাই বাছাই করতে শুরু করেছেন।
নীতিমালায় বর্তমানে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ই-কমার্স বাজারটিকে আরও বড় করার দিকেই তাদের প্রধান নজর থাকবে।
একই সঙ্গে জালিয়াতি প্রতিরোধ ও গ্রাহকরা যাতে প্রতারিত না হয়, সে বিষয়েও তারা গুরুত্ব দেবেন বলে জানান রাজীব।
এ সংগঠক বলেন, এখন কোনো নীতিমালা না থাকায় একটি ট্রেড লাইসেন্স পেতেও নানা ঝক্কির মধ্যে পড়তে হয়। কারণ ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ই-কমার্স বলে কোনো ক্যাটাগরি নেই।
তাছাড়া বর্তমান আইসিটি নীতিমালাতেও ই-কমার্স নিয়ে খুব বেশি কিছু বলা নেই। সম্ভাবনাময় বিকাশমান এক খাত পরিচালনার জন্য তেমন কোনো দিক নির্দেশনা নেই।
রাজীব বলেন, আগামী আট থেকে ১০ বছরের মধ্যে ই-কমার্স ও প্রচলিত ব্যবসা বলে আলাদা কিছু থাকবে না। তখন সব কিছুই চলে আসবে এ খাতের আওতায়। তাই এখনই বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।
ই-ক্যাবের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে হাজার খানেক ই-কমার্স সাইট আছে। এর বাইরে ফেইসবুকের মাধ্যমেও ব্যবসা করেন আরও অনেকে। ই-ক্যাবের সদস্যভূক্ত সাইট আছে ৩২০টি।
আরও পড়ুন: