![]() |
ইমরান হোসেন মিলন, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : শিক্ষার্থীদের স্বাবলম্বী করতে এবং তাদের কোচিং থেকে দূরে রাখতে বেশকিছু শ্রেণির শিক্ষাকে ই-লার্নিংয়ের আওতায় আনছে এসবিট ইনকর্পোরেশন লিমিটেড। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে ই-লার্নিং নিয়ে এই যাত্রা শুরু করবে।
তাদের এই ই-লার্নিংয়ের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির বিষয়গুলোর কনটেন্ট ইতোমধ্যে ডেভেলপ করা হয়েছে। এছাড়াও সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন এবং বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক কনটেন্টও থাকছে।
সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এসবিট ইনকর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর দেওয়ান বলেন, আমার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তিনির্ভর করতে চাই। প্রযুক্তিনির্ভর করা গেলে যেমন আমাদের সাশ্রয় হবে তেমনি আবার প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গে শহরের শিক্ষার বৈষম্য রোধ করা সম্ভব হবে।
বিভিন্ন আইটি সার্ভিস এবং সফটওয়্যার সল্যুশন দিতে সিলিকন ভ্যালির প্রকৌশলী প্রযুক্তিবিদ জাহাঙ্গীর দেওয়ানের হাত ধরে এসবিট বাংলাদেশে তাদের শাখা চালু করেছে গত বছরের শেষের দিকে।
প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ শাখার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহির বলেন, অগ্রাধিকার হিসেবে দেশে ই-লার্নিং নিয়ে পুরোদমে কাজ করছি আমরা। তবে যাতায়াত ব্যবস্থায় ই-টিকিটিং ও অটোমোশন অব ট্রান্সপোর্টেশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন করে ইউবার, গ্র্যাবকার ও লেফটের মতো সার্ভিস নিয়ে কাজ করছি।
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারিতে ই-লার্নিং চালু করার পর জোর দেওয়া হবে যাতায়াত ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশনে অটোমোশন অব ট্রান্সপোর্টেশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন কাজে। এখন এটির ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে দেশে যাতায়াত ব্যবস্থায় বেশকিছু দুর্বলতা থাকায় একটু সময় লাগছে বলেও জানান জহির।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহির বলেন, প্রথমে অনলাইনের মাধ্যমে ই-লার্নিং কাজটিকরা হবে। পরে যাচাই-বাচাই করে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে উন্মুক্ত করা হবে। ই-লার্নিংয়ের কাজটি একা করলেও ভবিষ্যতে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে অন্যান্য কাজ করতে চায় এসবিট বলে জানান জহির।
এসব কাজ ছাড়াও এসবিট দেশে বিভিন্ন ডিভাইসের চিপ তৈরির জন্য সিলিকন ভ্যালি ও ইমদাদ-সিতারা খান ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
এসবিটের সিইও জাহাঙ্গীর দেওয়ান বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে দীর্ঘমেয়াদী কিছু কাজ করতে চাই। তাই এখন অগ্রাধিকার দিচ্ছি ই-লার্নিং, যাতায়াত এবং এর পরেই থাকবে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি। আমরা চাই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে যে মানুষ তাৎক্ষণিক এসব সেবা পেতে পারেন তার দিকে।