সংখ্যা বাড়লে দেশের চেহারা বদলাবে ফ্রিল্যান্সাররাই

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে যখন শুনি সেখানকার ছেলেমেয়েরা ঘরে বসে মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করছে তখন অবাক হই। কি অসম্ভব মেধা আর মনের জোর এসব ছেলেমেয়ের। এমন ছেলেমেয়ের সংখ্যা বাড়লে শুধু ফ্রিল্যান্সিং করেই দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এই অভিমত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর।

তিনি বলেন, সরকার চেষ্টা করছে প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে। যদি তা সফল হয় তবে গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না।

প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘বিপিও সামিট ২০১৫’ এর ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড অপারেশনাল রিডনেস’ নামক সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন।

Techshohor Youtube

BPO summit

বুধবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বিপিও সামিটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

দুই দিনব্যাপী বিপিও সম্মেলনের প্রথম দিনে মোট পাঁচটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর দুইটায় ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড অপারেশনাল রিডনেস’ ও ‘এন্ট্রাপেনরশিপ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বিপিও ইন্ডাস্ট্রি’ শিরোনামে দুটি সেশনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড অপারেশনাল রিডনেস সেশনে বিপিও নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের পরিচালক ফাদিয়া খান।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন আগমেডিক্সের ভিপি অপস শ্রী দয়া সিং, বিসিসি’র জাতীয় তথ্যকেন্দ্রের পরিচালক তারিক এম বরকতুল্লাহ, ফাইবার অ্যাট হোমের এমডি ময়নুল হক সিদ্দিকী।

আলোচকরা দেশে প্রযুক্তিখাতের উন্নয়নের জন্য অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করার উপর জোরারোপ করেন।

একই সময় সোনারগাঁওয়ের ব্যালকোনি হলে অনুষ্ঠিত ‘এন্ট্রাপেনরশিপ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বিপিও ইন্ডাস্ট্রি’ সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহেমাদ।

আরএসএ অ্যাডভাইজরি লিমিটেডের সভাপতি কে মাহমুদ সাত্তারের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের এমডি আদনান ইমাম। আর প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন প্রাইস ওয়াটার হাউজ কোপারস সহযোগী মামনুল রশিদ, বিডি বেঞ্চার লিমিটেডের এমডি সাখাওয়াত হোসেন।

বক্তারা বলেন, দেশের প্রযুক্তিখাতে বিপিওর অবদান অনেক। আর সেই খাতকে টিকিয়ে রেখেছে দেশের উদ্যোক্তারা। এই খাতে বিনিয়োগ করতে গেলে অবশ্যই উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বিকেল চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত মোট তিনটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। ‘কানেকটিং স্টার্টআপ বাংলাদেশ : নার্সারিং দ্যা ফিউচার’ শিরোনামে হলরুমে অনুষ্ঠিত সেশনে অংশ নেন বেসিস সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বিসিস নির্বাহী পরিচালক সামি আহমেদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) সভাপতি আহমেদুল হক ববি।

বাংলাদেশে এখন স্টার্টআপদের একটা উর্বরক্ষেত্র। এই স্টার্টআপরাই দেশকে ব্যবসাবান্ধব করে তুলতে পারবে বলে এই তিন সেশনে অভিমত দেন বক্তারা।

সেশনগুলোতে বিপিও, আউটসোর্সিং খাতে কাজ করতে আগ্রহী উদ্যোক্তা-স্টার্টআপরা অংশ নেন।

একই সময় হোটেলের ব্যালকোনি হলে দিনের চতুর্থ সেশন ‘ফিউচার চ্যালেঞ্জেস অব আইসিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন অব বিপিও ইন্ডাস্ট্রি’ এবং পঞ্চম সেশন মেঘনা হলে ‘দ্যা অপরচুনেটিস অব আউটসোর্সিং ক্লায়েন্ট সার্ভিসেস ফ্রম আইটি পারস্পেক্টিভ’ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমবারের মতো দেশে আয়োজিত বিপিও সামিট ২০১৫ এর দ্বিতীয় দিনে মোট সাতটি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।

সরকারের আইসিটি বিভাগ ও বাক্য যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

ইমরান হোসেন মিলন

আরও পড়ুন: 

*

*

আরও পড়ুন