![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : সিদ্ধান্ত নেয়ার পাঁচ বছর ধরে নানা জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় পার্কটির উদ্বোধন করবেন।
রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সম্মেলন কক্ষে ‘অপারেশনাল লঞ্চিং অব দ্যা ফার্স্ট সফটওয়্যার টেকনোলোজি পার্ক ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকছেন জয় ।
এতে সভাপতিত্ব করবেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। যিনি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর সরকারি উদ্যোগের দেশের প্রথম এই সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের জমে থাকা নানা জটিলতা মিটিয়ে তা চালুর উদ্যোগ নেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে হাইটেক পার্কের মূল কাজে হাত লাগছে
পার্কটি ঢাকার কাওরান বাজারে অবস্থিত। ১২ তলার এই পার্ক ভবন জনতা টাওয়ার নামে পরিচিত। আশির দশকের শেষ নাগাদ রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদের মালিকানার মেসার্স জনতা পাবলিশার্স জনতা টাওয়ার নির্মাণ শুরু করে এর শুধু অবকাঠামো তৈরি শেষ করে।
এরপর নানা অনিয়ম দূর্নীতির দায়ে আদালত এটি বাজেয়াপ্ত করে।
পরে ২০১০ সালের ৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় জনতা টাওয়ারকে দেশের প্রথম সফটওয়্যার পার্ক হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়।
এর দায়িত্ব পায় টেকনোপার্ক লিমিটেড। কিন্তু যথাযথভাবে ও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না চুক্তি বাতিল হয় ২০১৩ সালে। মামলা করে টেকনোপার্ক। পার্ক চালুতে আসে আদালতের স্থগিতাদেশ। চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত।
২০১৪ সালের মার্চে পার্কটি পরিদর্শনে গিয়ে বেহাল দশা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পলক। বিশেষ করে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে অর্ধকোটি টাকার ভিডিও কনফারেন্সিং যন্ত্র পড়ে থাকতে দেখে হতাশ হন। ভবনের বেজমেন্টে কাঁচামালের অবৈধ গোডাউনটি সেই তাৎক্ষণিক উচ্ছেদের নির্দেশ দেন তিনি। এরপর পার্কটি দ্রুত চালু করতে সংশ্লিষ্ট সব জায়গা থেকে কাজ শুরু করেন তিনি।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক সৈয়দ এমদাদুল হক (অর্থ ও প্রশাসন) টেকশহরডটকমকে বলেন, রোববার দেশের প্রথম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দ দেয়ার প্রক্রিয়া শেষ হবার পথে। প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি হতে শুরু করে স্টার্টআপদের জন্যও এখানে বরাদ্দ থাকছে। বরাদ্দ পাওয়া কোম্পানিগুলো চাইলে উদ্বোধনের দিন থেকেই কাজ শুরু করে দিতে পারে। সরকার এজন্য সব ধরণের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।
এমদাদুল হক জানান, প্রতিটি তলায় ছয় হাজার বর্গফুট জায়গা রয়েছে। এরমধ্যে ব্যবহারযোগ্য হিসেবে বরাদ্দের জন্য জায়গা রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার বর্গফুট। তবে এই পার্কে সর্ব্বোচ্চ সংখ্যক কোম্পানি বা উদ্যোগকে বরাদ্দ দিতে চায় পার্ক কর্তৃপক্ষ।
আল-আমীন দেওয়ান
আরও পড়ুন: