![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ‘এশিয়া ইন্টারনেট সিম্পোজিয়াম -২০১৫’ এর ‘সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে দায়িত্বশীলতা’ নিয়ে এক আলোচনায় আলোচক ও উপস্থিতরা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতনতা জরুরি। এতেই এই মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দূর হবে। এক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেও কোনো কাজ হবে না।
ইন্টারনেট সোসাইটির বৈশ্বিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ইন্টারনেট সোসাইটি ঢাকা চ্যাপ্টারের আয়োজনে এই সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমিরেটস ড. লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় এই প্যানেল আলোচনা শুরু হয়।
আলোচনার আগে এটুআই’য়ের কমিউনিকেশন এক্সপার্ট হাসান বেনাউল ইসলাম সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বপূর্ণ ব্যবহার নিয়ে মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন। পরে প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, শুধু সরকারের পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় সংঘটিত অপরাধ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এর জন্য ব্যবহারকারীদেরই সচেতন হতে হবে।
ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার সুমন আহমেদ সাব্বির বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করে কখনোই এর অপরাধ থামানো সম্ভব নয়। এমনকি, পুলিশি নজরদারী বাড়িয়েও কোনোভাবেই এই অপরাধ থামানো সম্ভব হবে না। এর জন্য প্রয়োজন যার যার জায়গা থেকে দায়িত্বপূর্ণ ব্যবহার।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে অপরাধ ধরার চিন্তা না করে তা রোধের উপায় বের করতে হবে। এর জন্যও আমাদের সকলেরই দায়িত্ব আছে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রোকন জামান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার সঠিক হলে কখনোই অপরাধমূলক কোনো ঘটনা ঘটবে না।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বাংলাদেশের (আইএসবিএবি) সেক্রেটারি জেনারেল আমদাদুল হক বলেন, সঠিক নিবন্ধন করে এর ব্যবহার করলে আমরা আইপি আড্রেস চিহ্নিত করতে পারি। কিন্তু তারা যদি সঠিকভাবে নিবন্ধন না করে তাহলে আমাদেরও কিছু করার থাকে না।
পরে এক প্রশ্নোত্তর পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজন।
এর আগে সকালে সিম্পোজিয়ামের প্রথম সেশনে অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে একটি সেমিনার হয়।
সিম্পোজিয়ামে ইন্টারনেট সোসাইটি ঢাকা চ্যাপ্টারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইমরান হোসেন মিলন