![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ই-লার্নিংয়ের পরিসর বাড়াতে হবে। এই শিক্ষাকে গুটিকয়েক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ না রেখে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির সাহায্যে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। যেসব বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান এই কাজগুলো করছে তাদেরকে একটি প্লাটফর্ম দেয়া হবে। তাদের কাজের সাথে দেশের জনগণের সেতুবন্ধন গড়ে তোলা হবে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ভবনে আয়োজিত ‘ই-লার্নিং ফর এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং’ নামের এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বঞ্চিতদের জন্য বিগত সাড়ে ছয় বছরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সেমিনারে ই-লার্নিং নিয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠান ‘ইজকুল’ এর সিটিও ড. সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় তিনি মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে ই-লার্নিং বিষয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্ক উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ই-লার্নিংয়ের সৃজনশীল প্রয়োগের জন্য গবেষণা দরকার। এতে ই-লার্নিংয়ের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত হবে। যার ফলে অন্যান্য দেশের কাছে বাংলাদেশকে মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে।
সেমিনারে বিসিসির নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম ‘ই-লার্নিং রোডম্যাপ ফর গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ’, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আখতার হোসেন ‘ই-লার্নিং ইন বাংলাদেশ : একাডেমিক পার্সপেক্টিভ’ এবং কোর নলেজের প্রধান নির্বাহী মুবাশ্বের মুনাফ মুইন ‘কর্পোরেট ই-লার্নিং ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বিসিসি ও যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠান এসবিট ইনকর্পোরেশনের যৌথ আয়োজনে সেমিনারটিতে তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ জাহিদ হোসেন পনির, প্রগতি সিস্টেমের প্রধান ড. শাহাদাত খান, মুক্তসফটের প্রধান নির্বাহী মাহমুদুর রহমান, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি, বেসিসের সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইমরান হোসেন মিলন