![]() |
শাহরিয়ার হৃদয়, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বছর দশেক আগেও ফোন নির্মাতা হিসেবে নকিয়ার আশেপাশে কেউ ছিল না। সারা বিশ্বে একচেটিয়া বাজার ছিল প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু শেষমেশ স্মার্টফোন বাজারে গুগল ও অ্যাপলের সঙ্গে টেক্কা দিতে না পেরে মাইক্রোসফটের কাছে মোবাইল বিভাগ বিক্রি করে দেয় কিংবদন্তি এই প্রতিষ্ঠানটি।
নকিয়া নামটা অক্ষুণ্ণ রেখে তারা বাজারে আনে তাদের শেষ ফোন লুমিয়া ৮৩০। যেহেতু ইতি টানার ফোন, তাই কতটা বিশেষ বোঝাই যায়। বেশি দামি ট্যাগের দিকে যায়নি নকিয়া, বাজেট দামেই তাদের শেষ ফোনটি বাজারে ছাড়ে।
ডিজাইন
মেটাল ও প্লাস্টিকের চমৎকার মিশ্রণে তৈরি এর বডি। পেছনের মসৃণ দিকটাতে ক্যামেরার কালো অংশ দেখতে বেশ আকর্ষনীয় মনে হবে।
ফোনটি হাতে নিলেই বোঝা যায় সলিড ফিনিশিং। হাতে চমৎকারভাবেই বসে যাবে। নীল, সবুজ, কমলা, সাদা ও সোনালী রঙে পাওয়া যাচ্ছে ডিভাইসটি।
ডিসপ্লে
৫ ইঞ্চির ডিসপ্লে অবশ্য ফুল এইচডি নয়। তবে ১২৮০*৭২০ পর্যন্ত রেজ্যুলেশন পাওয়া যাবে। কিন্তু শার্পনেসে কোনো খাদ নেই, তাই ১০৮০ পিক্সেলের অভাব বোঝা যাবে না।
নকিয়ার বিখ্যাত ক্লিয়ার ব্ল্যাক ডিসপ্লেতে কালো রঙের ভেতর সব রঙ দারুণভাবে ফুটে উঠবে।
ক্যামেরা
মোটামোটি দামে ১০ মেগাপিক্সেলের অসাধারণ ক্যামেরা পাওয়া যাবে। পিওরভিউ নকিয়ার ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোতে দেখা গেলেও শেষ ফোনটিতেও এই ক্যামেরা নিয়ে আসা হয়েছে।
অপ্টিকাল স্ট্যাবিলাইজেশন, জিস অপ্টিক্সসহ আকর্ষণীয় কিছু ফিচার রয়েছে। যেমন, স্মার্ট সিকুয়েন্স ফিচার একসাথে অনেকগুলো ছবি তুলবে এবং খারাপ ছবিগুলো বাদ দিয়ে শ্রেষ্ঠ ছবিটা রেখে দেবে। লো লাইটে ক্যামেরা পারফর্মেন্স খুবই ভালো, বেশিরভাগ সময়ই ফ্ল্যাশের দরকার হবে না।
কনফিগারেশন ও পারফর্মেন্স
১.২ গিগাহার্জ কোয়াড কোর প্রসেসর আজকের ফোনের পাশে কম মনে হবে। কিন্তু উইন্ডোজ স্টোরের বেশিরভাগ অ্যাপ চালাতে এই প্রসেসর ও ১ জিবি র্যা ম যথেষ্ট।
সব কাজ এমনিতে দ্রুত ও রেসপন্সিভ। হাতে-গোনা কয়েকটি অ্যাপ ছাড়া সব অ্যাপ ভালোভাবে চলবে।
ডিফল্ট ১৬ জিবি র্যা ম মেমোরি কার্ড দিয়ে ১২৮ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
ব্যাটারি
২২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি লাইফ খুবই চমৎকার। টানা চালিয়েও একদিনে শেষ হবে না ব্যাটারি।
এক নজরে ভালো
– ১০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা
– ভালো পারফর্মেন্স
এক নজরে খারাপ
– ফুল এইচডি ডিসপ্লে নয়
আরও পড়ুন: