দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু কোডার্সট্রাস্টের

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে যাত্রা শুরু করলো কোডার্সট্রাস্ট। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫ জন নির্বাচিত শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করলো ডেনমার্কের প্রতিষ্ঠানটি।

কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) যৌথ আয়োজনে বুধবার রাজধানীর সোবহানবাগের স্টার্টআপ ঢাকা রেস্টুরেন্টে প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের যাত্রার ঘোষণা দেয়।

কোডার্সট্রাস্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড মেম্বার আজিজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা চেম্বার্স অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট হোসাইন খালেদ এবং কোডার্সট্রাস্টের চেয়ারম্যান অব দ্যা বোর্ড জান কায়ো ফাইবিগ।

Techshohor Youtube

Coderstrust

অনুষ্ঠানে পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ দর্শনের সাথে মিল থাকায় দারিদ্র দূর করার ক্ষেত্রে কোডার্সট্রাস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কোডিং শেখানোর মাধ্যমে দেশের তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরির এ প্রকল্পটি সত্যি প্রশংসনীয়।

কোডার্সট্রাস্ট আপাতত একটি সেন্টার থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করলেও শিগগিরই তারা ডিআইইউ’তে আরেকটি ট্রেনিং সেন্টার খুলবে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান।

অনুষ্ঠানে জান কায়ো ফাইবিগ জানান, ২০১৮ সালের মধ্যে ৪০ হাজার তরুণকে কোডিং প্রশিক্ষণ দেবে কোডার্সট্রাস্ট। এ লক্ষে সারা দেশে শিগগিরই ৬৬ সেন্টার খোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

জানা গেছে, গ্রামীণ সল্যুশন ও ডেনমার্কের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ডানিডার অর্থায়নে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করেছে কোডার্সট্রাস্ট। এর আওতায় প্রতিষ্ঠানটি ছাত্র-ছাত্রীদের ৬ মাসের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। এতে শিক্ষার্থীদের ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ইউজার ইন্টারফেস, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ইংরেজি ভাষা শেখানো এবং ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতাসহ বাস্তব জীবনে কাজে আসে এমন সব বিষয় শেখানো হবে। এতে সবার জন্য প্রশিক্ষক (মেন্টর) থাকবেন। যারা লার্নিং সেন্টারে এসে ক্লাস করতে পারবেন না, তাদের জন্য অনলাইনে কোর্স করার উপায় থাকবে।

ট্রেনিং শেষে কাজ পেতে সহযোগিতা থেকে শুরু করে কাজ করতেও সহযোগিতা করবে কোডার্সট্রাস্ট। প্রশিক্ষণকালে ছাত্রছাত্রীদের থাকা খাওয়া এবং এর সমস্ত খরচ বহন করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার ছয় মাস পর থেকে যখন তারা আয় করা শুরু করবে তখন টাকাটা শোধ করে দিতে হবে।

যে সব আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রী এতে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করবে তাদের অনলাইন টেস্ট এবং সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নির্বাচন করে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়া হবে।

ফখরুদ্দিন মেহেদী

*

*

আরও পড়ুন