![]() |
শাহরিয়ার হৃদয়, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : কিছুদিন আগে হাইব্রিড উইন্ডোজ ট্যাবলেট মানেই ছিলো মাত্রাতিরিক্ত দামের কিছু ডিভাইস। দাম কম রাখার জন্য এগুলোর মধ্যে কিছু ট্যাবলেটে অ্যাটম প্রসেসর ব্যবহার করা হয়, কিন্তু এতে পারফর্মেন্স অনেক কমে যায়।
আসুসের ট্রান্সফরমার টি১০০-কে অল্প দামে প্রথম ‘কাজের উপযোগী’ উইন্ডোজ ট্যাবলেট বলা হয়। দাম ৩৫ হাজার টাকা।
ডিজাইন
ল্যাপটপ-ট্যাবলেট দুটো এক ডিভাইসে বলেই পুরো ডিভাইসটা বেশ ভারি, প্রায় আড়াই কেজি। ট্যাবলেট অংশটি যদিও তুলনামূলক হালকা।
ট্যাবলেটটির পেছনে একেবারে ফ্ল্যাট প্ল্যাস্টিকে গড়া। ডিটাচেবেল কিবোর্ড যেকোন সময় খুলে অথবা লাগিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।
ডিসপ্লে
ট্যাবলেটে রয়েছে ১৩৬৬*৭৬৮ রেজ্যুলুশনের দশ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লে। খুব একটা শার্প বলা যাবে না। কালার কম্বিনেশন ভালো, কিন্তু ওয়েব ব্রাউজিংয়ে সামান্য ঘোলা হয়ে যেতে পারে। এক কথায় ডিসপ্লেকে কাজ চলার মত বলা যায়।
কানেক্টিভিটি
পোর্টের মধ্যে রয়েছে ইউএসবিপোর্ট ৩.০, হেডফোনজ্যাক ও মাইক্রোফোন। ১.২ মেগাপিক্সেল ওয়েবক্যামে অনেক ফিচার ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, কম মেগাপিক্সেলের ছবিকেও যা আকর্ষণীয় করে তুলবে।
কনফিগারেশন ও পারফর্মেন্স
পারফর্মেন্সের দিকে সব বাজেট হাইব্রিড ট্যাবলেটের থেকে এগিয়ে থাকার কারণ একটাই, এর বে ট্রেইল কোয়াড কোর অ্যাটম প্রসেসর। বাজারের গতানুগতিক প্রসেসর থেকে বে ট্রেইল যেমন গতিকে দ্রুত করে তোলে, তেমনি চার্জও অল্প খরচ করে।
এই প্রসেসর আপনাকে কিছু কিছু প্রিমিয়াম ট্যাবলেটের থেকেও ভালো পারফর্মেন্স এনে দেবে। গ্রাফিক্স অথবা ফটোশপের মত কাজের জন্য এর থেকে বাজেট হাইব্রিড ট্যাবলেট আর হয় না বললেই চলে।
র্যাম
২ জিবি র্যাম প্রসেসরের মত শক্তিশালী নয়। গেইমিং তাই মাঝারি মানের থেকে যাচ্ছে।
ব্যাটারি
ব্যাটারি এর আরেকটি শক্তি। ইউটিউবে ১০৮০ পিক্সেল ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ডে চললেও দেখা যাবে ব্যাটারি পাওয়ারের খুব বেশি হেরফের হয়নি। তাই সর্বনিম্ন ৮ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ এই ডিভাইস থেকে আশা করাই যায়।
এক নজরে ভাল
– গতিশীল পারফর্মেন্স
– দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ
এক নজরে খারাপ
– বাজে ডিসপ্লে