![]() |
আদনান নিলয়, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : আসুস এক্স৫৫৫এলএন, মাঝারি দামে চমৎকার কনফিগারেশনের নোটবুক। এটি ব্যবহার করে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা যে কোনো কাজে বেশ ভালো এক্সপেরিয়েন্স পাবেন। উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে টাচ স্ক্রিনের অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে না, কিন্তু এই অভাব নোটবুকটি অন্যান্য দিক দিকে পুষিয়ে দেবে। এর দাম পড়বে ৫৪ হাজার টাকা।
ডিজাইন
ল্যাপটপের ওপরের অংশে কালো প্লাস্টিকের আবরণ রয়েছে। তার ওপর আবার এক ধরনের বিশেষ প্যাটার্ন আছে যা আলো পড়লেই ঝলমল করে ওঠে। এটি ভালোলাগার মতোই এক ব্যাপার, অবশ্য অনেকের খারাপও লাগতে পারে। তবে ইন্টেরিওরে রূপালি ও কালো রঙের সমন্বয় নিঃসন্দেহে চমৎকার। এর ওজন ২.৩ কেজি।
ডিসপ্লে
১৫.৬ ইঞ্চি স্ক্রিনে ব্রাইটনেসের কিছুটা সমস্যা আছে, এর জন্য আসুসের নিন্দাও আছে। কালার কন্ট্রাস্ট নিখুঁত নয়, বিশেষ করে উজ্জ্বল আলোয় ডিসপ্লে দেখতে সমস্যা হতে পারে। তবে সব মিলিয়ে নোটবুকটির গেইম খেলা বা মুভি দেখার কোয়ালিটি মন্দ না।
কানেক্টিভিটি
নোটবুকটির ইন্টারফেসে আছে ভিজিএ পোর্ট, দুটি ইউএসবি ৩.০ পোর্ট, একটি ইউএসবি ২.০ পোর্ট ও এইচডিএমআই পোর্ট ও সুপার-মাল্টি ডিভিডি রাইটার। ব্লুটুথ ভার্সন ৪.০, স্ক্রিনের ওপর আছে ভিজিএ ওয়েবক্যাম।
কনফিগারেশন ও পারফর্মেন্স
পারফর্মেন্স এই নোটবুকটির সবচেয়ে শক্তিশালী দিক। ইন্টেল কোর আই ফাইভ ১.৭ গিগাহার্জ প্রসেসর দিয়ে ব্রাউজিং, ফাইল কপি থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ ফাস্ট স্পিডে করা যাবে। ৮ জিবি র্যা মও পর্যাপ্ত।
যারা গ্রাফিক্সের কাজ করেন, তাদের জন্য আছে আরেকটা বোনাস—এনভিডিয়ার ২ জিবি ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড। এটি গেইমিংকে তো ভালো করবেই, ডিসপ্লের শার্পনেসও অনেকটা বাড়িয়ে দেবে। ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর ইত্যাদি সফটওয়্যার ব্যবহার করা যাবে।
এর ১ টেরাবাইট ইন্টারনাল স্পেস রয়েছে, যা হার্ডডিস্ক ঝামেলা থেকে রক্ষা করবে। আরেকটি ভালো বৈশিষ্ট্য, তিন-চার ঘণ্টা ব্যবহারের পরও বেশ ঠাণ্ডা থাকে পুরো প্রসেসিং ইউনিট।
ব্যাটারি
সাড়ে চার ঘণ্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকবে এতে। খুব ভালো নয়, মাঝারি মানের বলা যায়।
এক নজরে ভালো
– চমৎকার পারফর্মেন্স
– এনভিডিয়ার ডেডিকেটেড ২ জিবি গ্রাফিক্স কার্ড
এক নজরে খারাপ
– বাজে ডিসপ্লে
– মাঝারি মানের ব্যাটারির ধারণক্ষমতা