![]() |
শাহরিয়ার হৃদয়, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : অ্যামাজন মূলত সর্ববৃহৎ অনলাইন শপ হিসাবেই বেশি পরিচিত। ইদানিং পুরনো এ ব্যবসার পাশাপাশি ফোন ও ট্যাবলেটে ভাগ্য পরীক্ষা করছে জনপ্রিয় কোম্পানিটি। এরই ধারাবাহিকতায় অ্যামাজন ফায়ার এইচডিএক্স ৮.৯ নামের নতুন মডেলও সম্প্রতি বাজারে এনেছে।
গত বছরে বের হওয়া অ্যামাজন ফায়ার ট্যাবের উত্তরসূরী এটি। হাই এন্ডের ট্যাবটি দিয়ে অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাই মূল লক্ষ্য। সঙ্গে নিজেদের অনলাইন মার্কেটের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ট্যাবের মার্কেটে জায়গা দখল করার উদ্দেশ্যও রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের।
ডিজাইন
৭.৮ মিলিমিটার পুরুত্বের ট্যাবলেটটি আইপ্যাড এয়ার ২ থেকে মোটা, কিন্তু নেক্সাস ৯ থেকে পাতলা। পেছনের ম্যাটে ফিনিশ কার্ভ হয়ে নেমে গেছে, যা পুরো বডিতে বাড়তি গ্রিপ এনে দিয়েছে।
ভলিউম ও পাওয়ার বাটন সাধারণত পাশে দেখা যায়, কিন্তু এখানে থাকছে পেছনের কার্ভ অংশটিতে। তাই ছোট্ট বাটনগুলি সবসময় আঙুলের কাছে থাকবে।
ডিসপ্লে
ট্যাবটির গ্লসি প্যানেল স্ক্রিনের সঙ্গে মিশে প্রিমিয়াম লুক এনে দিয়েছে। নামই বলে দেয় এর স্ক্রিন ৮.৯ ইঞ্চি। ২৫৬০*১৬০০ রেস্যুলুশনে পিপিআই ৩৩৯।
ডিসপ্লে অনেকটা আগের মতোই রেখেছে অ্যামাজন। তাতে কোনো ক্ষতি হয়নি, ডিসপ্লেটি যেমন শার্প তেমনই উজ্জ্বল।কালার কন্ট্রাস্টও বেশ নিখুঁত।
ক্যামেরা
আগের ট্যাবটির চেয়ে ফায়ার এইচডিএক্সে ক্যামেরা কোয়ালিটি বেশ বেড়েছে। ১.৩ মেগাপিক্সেল থেকে এখন এলইডি ফ্ল্যাশ সহ ৮ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা। ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা ৭২০ পিক্সেল ভিডিও রেকর্ডিং পর্যন্ত কাজ করবে।
সফটওয়্যার
ট্যাবটির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা এর অপারেটিং সিস্টেম। ফায়ারফক্সের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ফায়ার ব্যবহার করা হয়েছে এতে, যেটি অ্যান্ড্রয়েড প্রেমীদের মতো রীতিমতো ফাঁকা মাঠ। একদম অপরিহার্য অ্যাপ ছাড়া খুব বেশি অ্যাপ নেই অ্যাপ স্টোরে।
এমনকি নামিদামি গেইমগুলোর মধ্যেও সবগুলো স্টোরে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে ব্যবহারে সুবিধা আর গতির জন্য ওএসটি অবশ্যই প্রশংসা পেতে পারে।
মিডিয়া
সফটওয়্যারে ত্রুটি থাকলেও মন্দের ভালো, যেহেতু ট্যাবটি বই পড়ার কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা, প্রতি মুহূর্তেই অ্যামাজন থেকে বইপত্র ও ডিজিটাল কন্টেন্টে বিভিন্ন ছাড়ের অফার পাওয়া যাবে।
তাছাড়া ট্যাবটির অ্যাপ স্টোর যেমন ছোট, মুভি ও বইয়ের স্টোর তেমনই সুবিশাল। সবসময়ই আপডেটেড তো থাকবেনই, মুভি ও বইও প্রায় সব সময়ের সবগুলো খুঁজে পেয়ে যাবেন।
কনফিগারেশন ও পারফরম্যান্স
কনফিগারেশনে কোনো দিকেই দুর্বল নয় ডিভাইসটি। প্রসেসর ২.২ গিগাহার্জ কোয়াড কোর ও র্যাম ২ জিবি। সব কিছু নিখুঁতভাবে চলবে। অ্যাপের সংখ্যা অপর্যাপ্ত হলেও বিল্ট-ইন অ্যাপগুলো ল্যাগ করবে না।
ইন্টারনাল মেমোরি স্পেস ১৬ জিবি ও ৩২ জিবি দু’রকম অপশন রয়েছে। কিন্তু যেটাই নিন, মেমোরি কার্ড দিয়ে তা বাড়ানো যাবে না।
ব্যাটারি
ব্যাটারি পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো দেখা যায়নি ডিভাইসটির। ২ ঘন্টার ভিডিওতেই ব্যাটারি লাইফ অর্ধেকের বেশি নেমে যায়, যা দাম হিসেবে খুবই হতাশাজনক।
দাম ৩০ হাজার ৩২০ টাকা।
এক নজরে ভালো
– অসাধারণ ডিসপ্লে
– মিডিয়ায় দুর্লভ এক্সপেরিয়েন্স
– ভালো পারফরম্যান্স
এক নজরে খারাপ
– ফায়ার অপারেটিং সিস্টেম
– বাজে ব্যাটারি লাইফ