বকেয়া আদায়ে লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত বিটিআরসির

BTRC_techshohor

অনন্য ইসলাম, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : গত কয়েক বছরে বিভিন্ন অপারেটরের কাছে বকেয়া পড়ে থাকা বাকি পড়া প্রায় ২ হাজার ৬১১ কোটি টাকা আদায়ে কঠোর হচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। প্রয়োজনে পাওনা আদায়ে মামলা করাসহ লাইসেন্স বাতিলের পরিকল্পনাও করছে সংস্থাটি।

বিটিআরসির ১৬১তম কমিশন বৈঠকে সোমবার বকেয়া আদায়ের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত হয়। বিভিন্ন অপারেটরের কাছে দীর্ঘ দিনের বিপুল এ পাওনা আদায় কঠিন হতে পারে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা। এ জন্য আইনী প্রক্রিয়া শুরুর পক্ষে মত দিয়েছে কমিশন।

BTRC_techshohor

Techshohor Youtube

বিটিআরসির বকেয়া তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ল্যান্ডফোন কোম্পানি বিটিসিএল। এ প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা ১ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। সরকারি এ কোম্পানির বিরুদ্ধেও মামলা করার কথা ভাবছে বিটিআরসি। এক্ষেত্রে সরকারি একটি সংস্থা কিভাবে আরেকটি সরকারি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করবে সে বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, অন্য বেসরকারি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অর্থ আদায়ে প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিলের পরিকল্পনাও রয়েছে। বকেয়া তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশের সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল। তাদের কাছে পাওনা ১৪৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের কাছে পাওনা রয়েছে ৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এ অর্থ আদায়ে সোমবার বিকালেই ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক গেটওয়েগুলোর (আইজিডব্লিউ) মধ্যে বিটিসিএল বাদে বাকি ২৮ অপারেটরের কাছে পাওনা রয়েছে ৫০০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আন্তসংযাগ এক্সচেঞ্জগুলোর কাছে পাওনা ২১১ কোটি টাকা। আর আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ের কাছে পাওনা ৩০ লাখ টাকা। ওয়াইম্যাক্স অপারেটর বাংলালায়নের কাছে ২৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ও কিউবির কাছে পাওনা ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। এ ছাড়া ১২টি বেসরকারি ল্যান্ডফোন অপারেটরের কাছে পাওনা ২৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর অন্য বেসরকারি এবং সরকারি সংস্থার কাছে স্পেকট্রাম বাদে পাওনা রয়েছে ২৪ কোট ১৮ লাখ টাকা।

জুনের ৩০ তারিখ পর্যন্ত এ হিসাবের পর আরও তিন মাসে পেরিয়ে যাওয়ায় পাওনার পরিমাণ আরও বেড়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।

এর আগে এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেন, একটি সংস্থা বছরে আট-দশ হাজার কোটি টাকা আয় করে। তখন কিছু টাকা বকেয়া পড়তেই পারে।

কয়েক দিন আগে বিটিআরসির বকেয়া বিষয়ে একটি তালিকা টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ে পাঠায়। এতে দেখা গেছে, মূলত রাজস্ব ভাগাভাগি, স্পেকট্রাম চার্জ এবং লাইসেন্স ফি বাবদ অপারেটরগুলোর কাছে বিপুল এ বকেয়া রয়েছে।

*

*

আরও পড়ুন