![]() |
আদনান নিলয়, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ট্যাবের বাজারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানটি এখন পর্যন্ত স্যামসাংয়ের দখলে। এদিক থেকে তাদের মিডরেঞ্জের ট্যাব সিরিজটি সবচেয়ে জনপ্রিয়। সম্প্রতি বাজারে এসেছে এ সিরিজের সর্বশেষ মডেল গ্যালাক্সি ট্যাব ৪।
স্যামসাং ট্যাবের একটা দুর্নাম সবসময়ই থাকে যে বাড়তি দামের তুলনায় কনফিগারেশন দুর্বল- এ ট্যাবেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গাল্যাক্সি পরিবারের আগের ট্যাবগুলোর থেকে পরিবর্তনটাও খুব বেশি নয়।
ডিজাইন
ট্যাবটি হাতে নিলেই প্রথম বৈশিষ্ট্য হিসেবে এটি অনেক হালকা মনে হবে। ওজন মাত্র ৪৮৭ গ্রাম। পুরুত্ব ৮ মিলিমিটার।
এক কথায়, বড় স্ক্রিন হওয়ার পরও ট্যাবটি যে কোনো জায়গায় আরামে বয়ে নিতে পারবেন। পেছনে প্লাস্টিক ও গ্লাসের বেশ চমৎকার সমন্বয়ে এর বডি তৈরি করা হয়েছে, তাই দেখতে বেশ সুন্দর।
ডিসপ্লে
গ্যালাক্সি ফোনের মত ট্যাবে সুপার আমোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়নি। মাত্র ১৪৯ পিপিআই-এর ডিসপ্লেতে ডিটেইলের পরিমাণ হতাশাজনক। তবে নিখুঁত কালার কন্ট্রাস্ট সেটা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিয়েছে। এছাড়া এর স্ক্রিন ১০.১ ইঞ্চি ও রেজুল্যুশন ১২৮০*৮০০ পিক্সেল।
ক্যামেরা
ট্র্যাডিশনাল ট্যাবলেটের ক্যামেরাগুলোর থেকে বেশ পেছনে স্যামসাং। পেছনে ৩.১৫ ও সামনে ১.৩ মেগাপিক্সেল। কাজ চলার মতো ছবি তোলা যাবে, কিন্তু ফ্ল্যাশের অনুপস্থিতি ও কম রেজুল্যুশনে ছবি অন্ধকার ও ঘোলাটে আসবে।
সফটওয়্যার
টাচউইজের প্রতিটি ভার্সনের সঙ্গেই দারুণ সব উন্নতি আনা হচ্ছে। এস ৪-এর মাল্টি উইন্ডো ফিচার তো রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছিল। এবারো সেই ফিচার থাকছে।
নিজস্ব আরও অ্যাপ রয়েছে, যেমন স্যামসাং এর নক্স অ্যাপ, বাসায় স্মার্ট টিভি আই আর ব্লাস্টটার দিয়ে অপারেট করবার জন্য যে অ্যাপ- তাতেও আনা হয়েছে স্লিক অ্যান্ড সিম্পল লুক।
কনফিগারেশন এবং পারফরম্যান্স
পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে অনেকটাই ঘাটতি আছে ট্যাব ৪-এ। এটি ততক্ষণই স্মুথ চলবে, যতক্ষণ না ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশ কিছু অ্যাপ রান করছেন।
তবে মাল্টিটাস্কিং করার জন্য স্যামসাং টাচউইজে দারুণ সব সুবিধে এনে দিয়েছে, কিছু তা ভালোভাবে করতে পর্যাপ্ত প্রসেসিং পাওয়ার দেয়নি। কোয়াড কোর ১.২ গিগাহার্জ প্রসেসর বড় স্ক্রিনের ট্যাবের খুব বেশি বলা যায় না। কিন্তু দেড় জিবি র্যাম বড় বড় অ্যাপে ল্যাগ করা থেকে রক্ষা করবে।
ইন্টারনাল মেমোরি থাকছে ১৬ জিবি এবং তা বাড়ানো যাবে ৬৪ জিবি পর্যন্ত।
ব্যাটারি
ব্যাটারি লাইফ অসাধারণ বলা যাবে না। ৬৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিতে ফুল ব্রাইটনেসে সর্বোচ্চ ছয় ঘন্টা ভিডিও চালাতে পারবেন।
দেশের বাজারে ট্যাবটি পাওয়া যাচ্ছে ২৭ হাজার টাকায়।
এক নজরে ভালো
– আকর্ষণীয় ডিজাইন
– সফটওয়্যার ফিচারগুলো সমৃদ্ধ
এক নজরে খারাপ
– ডিসপ্লে ও ক্যামেরা দুর্বল
– পারফরম্যান্স গতিশীল নয়
– উল্লেখযোগ্য আপগ্রেড নেই