![]() |
শাহরিয়ার হৃদয়, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশের বাজারে কমদামে জনপ্রিয় স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে অন্যতম সিম্ফোনি এক্সপ্লোরার জেড টু। বছরের মাঝামাঝি বাজারে এলেও চমৎকার স্পেসিফিকেশন ও সার্ভিসের কারণে এখনও এর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
গড়ন ও ডিসপ্লে
জেড টু সিম্ফোনির সবচেয়ে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ফোনগুলোর একটি। এতে রয়েছে ৪.৮ ইঞ্চি সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রেজুল্যুশন ১২৮০*৭২০ পিক্সেল। স্যামসাং বা সনির ডিসপ্লের মতো না হলেও এর ছবির মান বেশ নিখুঁত ও স্পষ্ট। স্ক্রিন গরিলা গ্লাস দিয়ে তৈরি। তাই সহজে দাগ পড়বে না। পুরুত্ব মাত্র ১০ মিলিমিটার হওয়ায় ফোনটি স্লিম ও ধরতে আরামদায়ক।
ক্যামেরা
এতে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশসহ ১৩ মেগাপিক্সেল সেন্সরের প্রধান ক্যামেরা। ক্যামেরায় অটোফোকাস, জিওট্যাগিং, টাচ ফোকাস, ফেস ও স্মাইল ডিটেকশন সুবিধা রয়েছে। ১০৮০ পিক্সেলের ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। ফ্রন্ট ক্যামেরাটি ৫ মেগাপিক্সেল।
কনফিগারেশন
কোয়াড কোর ১.২ গিগাহার্জ কর্টেক্স এ৭ ব্যবহার করা হয়েছে ফোনটিতে, সাথে আছে ১ গিগাবাইট র্যাম। আরও আছে পাওয়ারভিআর এসজিএক্স ৫৪৪ প্রসেসর। ইন্টারনাল মেমোরি ১৬ গিগাবাইট- যা বাড়ানো যাবে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত। থ্রিজি, ওয়াই-ফাই, ওয়াই-ফাই হটস্পট, মাইক্রোইউএসবি, জিপিএসসহ স্মার্টফোনের সব ধরনের কানেক্টিভিটিই রয়েছে। রয়েছে ডুয়াল সিম সুবিধা।
ব্যাটারি
জেড টুর ২২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার-আওয়ারের ব্যাটারি দিয়ে টানা চার ঘণ্টা কথা বলা যাবে। ব্যাটারির স্ট্যান্ডবাই টাইম ৩৫০ ঘণ্টা।
পারফর্ম্যান্স
অ্যান্ড্রয়েড জেলি বিন মসৃণ গতিতে উপভোগ করার জন্য ফোনটির কনফিগারেশন যথেষ্ট। পাশাপাশি ব্রাউজিং, মাল্টিটাস্কিং, গেইমিং ইত্যাদিতেও কোনো সমস্যা হবে না। তবে কিছুদিন ব্যবহারের পর ফোনটি স্লো হয়ে যেতে দেখা গেছে। র্যাম আরেকটু বেশি থাকলে এ সমস্যাটি হতো না। এ ছাড়া অ্যাসফল্ট সিক্স, ফ্রুট নিনজা, সাবওয়ে সার্ফ ইত্যাদি মজার গেইম বিল্ট-ইন দেওয়া আছে।
যারা সাধ্যের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েডের পুরো মজাটুকু নিতে চান তাদের জন্য ফোনটি আদর্শ বলা যায়। দেশের বাজারে এটির দাম ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা।
এক নজরে ভালো
– উন্নত হার্ডওয়্যার, স্মুথ অ্যান্ড্রয়েড এক্সপেরিয়েন্স
– চমৎকার ক্যামেরা, ডুয়াল সিম
এক নজরে খারাপ
– র্যাম কম হওয়ায় এক পর্যায়ে স্লো হয়ে যেতে পারে