![]() |
সৌমিক আহমেদ, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বিশ্বে সবচেয়ে আধুনিক একই সঙ্গে প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান গুগল। বিশ্বজুড়ে ৫০ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে টেক জায়ান্টটির। আর এমন একটি প্রতিষ্ঠানের এইচ আর (হিউম্যান রিসোর্স) বিভাগে কাজ করা চ্যালেঞ্জের বটে।
এ চ্যালেঞ্জটিই প্রতিনিয়ত উপভোগ করছেন লাসলো বক। তিনি সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, পিপল অপারেশনস অব গুগল। সোজা কথায় এ মার্কিনী গুগলের এইচ আর (হিউম্যান রিসোর্স) বিভাগের বস। যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি লিংকডইনে চাকরির ক্ষেত্রে সিভি কতটা ভূমিকা রাখে বা সিভি কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে অনেক কথা লিখেছেন। তার বিভিন্ন পরামর্শ ও সুপারিশ তুলে ধরতে এ প্রতিবেদন। এটি তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে চলা দেশের তরুণদের জন্য সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন:গুগলের সায়ানোজেন কেনার চেষ্টা
বকের মতে, সিভিটি সম্পূর্ণভাবে স্বতন্ত্র হতে হবে। তিনি বলেছেন, এতে পুরোপুরিভাবে কাজের অভিজ্ঞতার বিষয় ‘স্পেসিফাই’ করতে হবে।
তার মতে এটাই সিভির মূল বিষয়। সিভি চূড়ান্ত করার পর নিজে থেকে তা দুই থেকে তিনবার যাচাই বাছাই করতে হবে। কোথায় গ্যাপ রয়েছে, অসঙ্গতি রয়েছে তা চিহ্নিত করতে হবে।
দেখতে হবে যাতে সিভিটি সুসংগঠিত হয় এবং যে চাকরির জন্য সিভি দেওয়া হচ্ছে সেটির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হয়। পুরনো অভিজ্ঞতার কথা পর্যায়ক্রমে সিভিতে উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে হবে সফটস্কিল হিসেবে।
এরপরও আশানুরুপ সাড়া নাও আসতে পারে। কারণ অন্যদের চেয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতায় হয়তো ঘাটতি রয়েছে কিংবা তা চোখে পড়ার মতো নয়।
এ ছাড়া অনেক সময় দেখা যায় আগের চাকরির সঠিক মূল্যয়নের তথ্য বা আনুষাঙ্গিক তথ্য দিতে সঠিকভাবে সিভিতে তুলে ধরা হয় না। এ কারণেও সেগুলো ব্যর্থ সিভি হিসাবে গণনায় আসে না।
বকের মতে, নিজের কাজের মূল্যায়ন করা হয়ত কঠিন কাজ। তবে প্রায় সব সময়ই আপনার মধ্যে থাকা বিশেষ কিছুকে আপনি অন্যদের চেয়ে আলাদা করতে পারবেন। নিজেকে আলাদাভাবে সিভিতে উপস্থাপন করার ফর্মুলাও দিয়েছেন এ গুগল কর্মকর্তা।
শিক্ষাগত যোগ্যতায়, কাজের মূল্যায়নে ও কাজের বিষয়গুলোর পাশাপাশি সিভিতে সাফল্য ও দক্ষতার পরিস্কার চিত্র তুলে ধরার কথা বলেছেন মানবসম্পদ বিভাগের অভিজ্ঞ এ কর্মকর্তা।
তার মতে, লক্ষ্যে পৌঁছাতে আপনি কি কি করেছেন তার একটি বর্ণনা দিন। সোজা কথায় সিভিতে এমন একটি ভিত্তি দিতে হবে যা অন্যদের সঙ্গে তুলনার যোগ্যতা রাখে।
লাসলো বকের মতে, সরাসরি কাজের কথা বলে শুরুটা করা যেতে পারে। সিভিতে কর্তৃবাচ্য ব্যবহার করা উচিত। উদাহারণস্বরূপ বলা যায়- ফিনান্সিয়াল পারফরমেন্স অব কোম্পানিস বিষয়ে পড়াশোনা করেছি এবং ইনভেস্টমেন্ট রিকমেনডেশন তৈরি করেছি।
এ কাজটির একটি নির্দিষ্ট বর্ণনাও দিতে হবে। যেমন- এক বছরে ইনভেস্টমেস্ট পোর্টফোলিও ১২ শতাংশ বাড়িয়েছি। এটা কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য কতটা লাভজনক তা তুলে ধরার জন্য কত শতাংশ কাজ করা হয়েছে সেটি সরাসরি বলা উচিত।
আমাদের দেশে একটি বিষয় প্রায়ই শোনা যায় যে সিভি হয়ত হবে ছোট। কিন্তু বাক বলেছেন, তথ্য বেশি দেওয়া ভালো। তার মতে তথ্য বেশি দিলে তা কোম্পানির প্রত্যাশার কাছাকাছি যেতে পারে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, দৈনিক ৮৫ জন গ্রাহককে শতভাগ সেবা দিয়েছে। এমন তথ্য সিভিতে উল্লেখ করা ভালো। এতে চাকরি দাতারা মূল্যায়ন করার মতো একটি চিত্র পাবেন।
-ইয়াহু ফাইনান্স অবলম্বনে
আরও পড়ুন:
গুগল সার্চের শীর্ষ ২০ বিশ্ববিদ্যালয়