ভালো কভার লেটার লেখার ১০ টিপস

সিভি-উইমেন-টেকশহর

তুসিন আহমেদ, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার শুরুটা হয় কভার লেটার থেকে। অভিজ্ঞদের মতে কাজ পেতে ক্লায়েন্টের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রধান উপায় কভার লেটার। একটি আকর্ষণীয় কভার লেটার ফ্রিল্যান্সারদের অনেক মাইলেজ দেয়। শুরুতেই ক্লায়েন্টের নজর কাড়তে না পারলে কাজ পাওয়ার সম্ভবণা শূণ্য। তাই ভালো মানের একটি কভার লেটার লেখার চেষ্টা করতে হবে শুরুতেই।

ইল্যান্স-ওডেক্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খানও মার্কেটপ্লেস থেকে ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিং কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে কভার লেটারকে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে উল্লেখ করেন। টেক শহরডটকমে এ বিষয়ে পাঠকদের বেশ কিছু প্রশ্নের জবাবে তিনি ক্লায়েন্টের দৃষ্টি আকর্ষণে এটিকে ভালোভাবে উপস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন।

পাঠকদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার বিষয়টি মাথায় রেখে একটি ভালো মানের কভার লেটার তৈরিতে করনীয় ১০ দিক নিয়ে এ প্রতিবেদন।

Techshohor Youtube

আরও পড়ুন: কভার লেটার হাইড : স্কিল ছাড়া বেশি অ্যাপ্লাই, কপি-পেস্ট

উইমেন-টেকশহর

১. কভার লেটার অবশ্যই নিজে লেখা উচিত। বন্ধু কিংবা অন্য কাউকে এটি লেখার দায়িত্ব দেওয়া কিংবা কপি করে লেখা একদমই উচিত নয়। কেননা পরে ক্লায়েন্টের সঙ্গে ইন্টারভিউয়ের সময় এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

২. ভাষার দক্ষতার দিকে নজর দিতে হবে। বানান যেন ভুল না হয়। কম শব্দের মধ্যে বিস্তারিত তুলে ধরতে হবে। ক্লায়েন্টদের সময় কম থাকে বলে বড় কভার লেটার পড়ার সময় থাকে না তাদের। তাই ছোট রাখা ভালো।

তবে ক্লায়েন্ট যেন সম্পূর্ণ কভার লেটার পরে আপনার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৩. একই কথা কভার লেটালে বার বার ব্যবহার করা একদমই উচিত নয়। এতে ক্লায়েন্ট বিরক্ত হবেন।

৪. কভার লেটারে হাই কিংবা হ্যালো দিয়ে শুরু করা ভালো। স্যার কিংবা ম্যাডাম ব্যবহার পরিত্যাগ করাই ভালো।

৫. যে কাজের জন্য অ্যাপ্লাই করেছেন সেই রকম কাজের ডেমো কভার লেটারে যুক্ত করে দিতে হবে। যাতে ক্লায়েন্ট সহজে বুঝতে পারে আপনি কাজটি করতে পারবেন।

৬. কাজটি নিয়ে ক্লায়েন্টকে পরামর্শ দিন। ক্লায়েন্ট যেভাবে কাজটি চাচ্ছে সেটির চেয়ে আরও ভালো কিছুর পরামর্শ দিন। কেন অন্যভাবে করলে সুন্দর হবে সেটি সংক্ষেপে তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। তাহলে ক্লায়েন্ট বুঝতে পারবে আপনি কাজটি সম্পর্কে এক্সপার্ট। সেক্ষেত্রে কাজ পাওয়ার সম্ভবনা বেশি।

৭. কখনো ই-মেইল, স্কাইপে এবং ইয়াহু আইডি কভার লেটালে দেওয়া যাবে না। যদি ক্লায়েন্ট নক করে শুধু তাহলেই দেওয়া উচিত।

৮. অনেকে কভার লেটারে নিজের গুনগান বেশি করেন এবং কাজটি তার একান্ত দরকার এ রকম আকুতি মিনতি করেন। এগুলো পরিহার করতে হবে।

৯. ধন্যবাদ দিয়ে নিজের নাম উল্লেখ করে কভার লেটার শেষ করতে হবে।

১০. সব সময় একই কভার লেটার না লিখে কাজের ধরণ অণুযায়ী তা পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন:

ফ্রিল্যান্সিংয়ে ডিগ্রি নয়, কাজ ও যোগাযোগ দক্ষতাই আসল

মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল থাকলেই ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায় না

মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল থাকলেই ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায় না

*

*

আরও পড়ুন