![]() |
অনন্য ইসলাম, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: ওলোকে ওয়াইম্যাক্স লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বিরুদ্ধে একটি রিট মামলা করেছেন এক আইনজীবী।
এতে টেলিযোগাযোগ সচিব, এক জন যুগ্ম সচিব এবং বিটিআরসির একজন মহাপরিচালকসহ আরও কয়েকজনকে পক্ষ করা হয়েছে।
সম্প্রতি এ রিটটি করেছেন ওমর ফারুক নামের এক আইনজীবী। তবে রিটে ওমর ফারুকের আইনজীবী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ব্যারিস্টার অনিক আর হকের নাম।
রিটের আবেদনে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশ ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ (বিআইএল) নামের কোম্পানিটিকে লাইসেন্স দেওয়া আইন পরিপন্থী। আবেদনে বলা হয়েছে , বিটিআরসির আইনেই আছে নিলাম ছাড়া কোনো লাইসেন্স বা স্পেকট্রাম কাউকে দেওয়া যাবে না। অথচ বিটিআরসি ঘোলাটে এক পরিস্থিতিতে লাইসেন্স দিচ্ছে।
এর আগে ২০০৮ সালে একটি নিলামের মাধ্যমে বাংলালায়ন এবং কিউবিকে লাইসেন্স দেয় বিটিআরসি। ছয় মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ তাদের জামানতের তিন কোটি টাকাও তুলে নেয়। এর মধ্যে আওয়ালীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশি মালিকানা থেকে বাংলাদেশ ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ চলে যায় রাশিয়ার মাল্টিনেটের হাতে। তারাই এখন এই সেবা পরিচালনা করছেন। তখন এপ্রিল মাসে তারা নতুন লাইসেন্সের জন্যে আবেদন করে। তারপর থেকেই বিটিআরসি এই প্রক্রিয়া শুরু করে।
ইতিমধ্যে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবও এই লাইসেন্স এবং স্পেকট্রাম বরাদ্দের বিরোধীতা করছে। তারা বলছেন, ২৬০০ ব্যান্ডের মূল্যবান স্পেকট্রাম দিয়ে দেওয়ায় রাষ্ট্রের বহু অর্থের ক্ষতি হচ্ছে। একই সঙ্গে তারা আলোচনার মাধ্যমে ওয়াইম্যাক্সের সংশোধিত নীতিমালা পুনমূল্যায়ন করা, স্পেকট্রাম প্রাইসিং ঠিক করাসহ স্পেকট্রাম বরাদ্দের ক্ষেত্রে সুস্পস্ট নীতিমালার দাবি জানিয়েছে।
এর আগে ৪ নভেম্বর কয়েক হাজার কোটি টাকার স্পেকট্রাম ওলোকে মাত্র ২৪৫ কোটি ৭১ লাখ টাকায় ২৬০০ ব্যান্ডের ২০ মেগাহার্ডজ স্পেকট্রাম দেওয়ার অনুমোদন দেয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।