![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক ১ কোটির ল্যান্ডমার্ক ছাড়িয়েছে। বর্তমানে দৈনিক গড়ে ১৭০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে এ সেবার মাধ্যমে। স্বল্পতম সময়ে সব শ্রেণী ও পেশার মানুষের কাছে সেবাটি গ্রহণযোগ্য হওয়ায় গ্রাহকের আওতা বাড়ছে বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, গত রোববার পর্যন্ত মোবাইলে আর্থিক সেবা গ্রহণকারী গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ৩৫ হাজার। গত এপ্রিলে ৫০ লাখের ল্যান্ডমার্ক ছুয়েছিল এ সংখ্যা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ সেবা অনেক আগে থেকে চালু থাকলেও বাংলাদেশে ২০১০ সাল থেকে শুরু হয়। বর্তমানে ১৯টি ব্যাংক মোবাইল কোম্পানিগুলোর সহযোগিতায় এ কার্যক্রম চালাচ্ছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মোবাইল ব্যাংকিং চালুর অনুমোদন নিয়েছে ২৮ ব্যাংক। ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগি প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’ এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বর্তমানে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অক্টোবর শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক ছিল ৯৯ লাখ ৮০ হাজার। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরে ছিল ৮৯ লাখ ৩০ হাজার। এ হিসেবে গ্রাহকের মাসিক বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। গত অক্টোবরে মোট ২ কোটি ৩৬ লাখ লেনদেনের বিপরীতে ৫ হাজার ৯৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমান দাঁড়িয়েছে ১৭০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, প্রবাসীদের অর্থ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত উপকারভোগীর কাছে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। তবে এখন আর তা শুধু এ সেবার মধ্যে সীমিত নেই। এর মাধ্যমে অর্থ পাঠানো, জমা ও উত্তোলন, বেতন ভাতা পরিশোধ, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, ব্যবসায়িক লেনদেনসহ অনেক ধরনের আর্থিক সেবা পরিচালিত হচ্ছে। এসব কারণে অল্কপ্প সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ কার্যত্রক্রম। এতে করে স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকের সাড়া মিলেছে। এ সেবা ব্যবহার করে বেতন-ভাতাদি প্রদান ও ইউটিলিটি বিল পরিশোধের পরিমাণও বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, মোবাইল ব্যাংকিং শুরুর মাত্র ৩ বছরের মধ্যে এ অর্জন দেশের আর্থিক খাতে বিশেষ অবদান রাখবে।
– আমিন রানা, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর