ফালতু অ্যাপের মুখোশ খুলতে টেক রাডারের মিশন

social-media-marketing-by-apps-TechShohor

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : প্রতি সপ্তাহে সবচেয়ে নিকৃষ্ট একটি অ্যাপ নির্বাচন করবে প্রযুক্তি বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট টেক রাডার। লক্ষ্য এসব অ্যাপ থেকে সবচেয়ে বিরক্তিকর ১০ অ্যাপের তালিকা তৈরি।

লাখ লাখ অ্যাপসের ভিড়ে অকাজের অ্যাপের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় নতুন এ মিশন নিয়ে নামছে সাইটটি।

লাখো অ্যাপের ভিড়ে বর্তমানে কাজেরটি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অনেকসময় চমকপ্রদ নামের আড়ালে বিভৎস্য অ্যাপও ছাড়া হচ্ছে। ভয়ংকর ও বিরক্তিকর অ্যাপস চিহ্নিত করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

Techshohor Youtube

আরও পড়ুন: ভিডিও চ্যাটের পাঁচ জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন

social-media-marketing-by-apps-TechShohor

 

বর্তমানে অ্যাপলের আইওএস অ্যাপ স্টোরে ১৩ লাখেরও বেশি অ্যাপস রয়েছে। গুগল প্লেতে অ্যান্ডয়েড অ্যাপের সংখ্যাও প্রায় কাছাকাছি। মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোন স্টোরেও অ্যাপের সংখ্যা বাড়ছে। এতো অ্যাপসসুবিধা দিচ্ছে ভেবে খুব প্রীত হওয়ার কারণ নেই বলে মনে করে প্রযুক্তি সাইটটি।

সম্প্রতি অপর এক প্রতিবেদনে অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের ৮০ ভাগ অ্যাপ অকাজের বলেও তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

টেক রাডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব অ্যাপ কি কাজে লাগে! এতো এতো অ্যাপের মধ্যে ফালতু অ্যাপের ভীড়ও অনেক দীর্ঘ। এ নিয়ে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কেননা এসব ফালতু অ্যাপসের দ্বারা প্রতিদিন অনেকেই ভোগান্তির শিকার হন। অনৈতিক কাজও হয়ে থাকে এর মাধ্যমে।

অ্যাপ সংক্রান্ত এ ধরনের বাজে অভিজ্ঞতা যেন কারও না হয় সে লক্ষ্যে ফালতু অ্যাপস পরিচিতকরণের মিশনে নেমেছে টেক রাডার। প্রযুক্তির নামে সেসব অ্যাপ ভয়ানক এবং সতিই বিরক্ত কাজ করছে তার মুখোশ উন্মেচন করবে সাইটটি। ব্যবহারকারীদের সমূহ ক্ষতি থেকে বাচাঁতে এ বিপদজনক লক্ষ্য নামছে ওয়েবসাইটটি।

এ লক্ষ্যে প্রথম দিনেই আইওএসের বিনামূল্যের ‘পেট বেবি’ অ্যাপটির বর্ণনা দিয়ে এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে সাইটটি। এটি বাচ্চাদের বিকৃতভাবে উপস্থাপন করার একটি অ্যাপ।

এতে শিশুদের মুখের অবয়বকে বিভিন্ন প্রাণীর সঙ্গে পরিবর্তন করা হয়।শিশুর নাকের সঙ্গে কুকুরের নাক পরিবর্তন করা বা তার চোখ অন্ধ করে দেওয়া অথবা শিশুর মুখের ওপর বিড়ালের একটি ছবি বসিয়ে দেওয়ার মতো কাজ করে অ্যাপটি।

টেকরাডারের মতে, এ যেন সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে অবজ্ঞা করা। পরে এ ছবিগুলো ফেইসবুক, টুইটার, ই-মেইল কিংবা এমএমএসের মাধ্যমে শেয়ার করা হয় ।অ্যাপটি প্রকাশিত হবার পর থেকে এর কোনো বিশ্লেষণ বা রিভিউ হয়নি।

শিশুরসৌন্দর্য রক্ষার্থে এ ধরনের ঘৃণ্য মনোভাব পরিবতন করা উচিৎ বলে মনে করে সাইটটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ধরনের মজা বন্ধ করা উচিৎ। কেননা এগুলো মানবতাকে বিকৃত করে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

– টেক রাডার অবলম্বনে ফখরুদ্দিন মেহেদী

আরও পড়ুন:

প্রোফাইল ও অ্যাপ্লিকেশন ভালো হলে ক্লায়েন্ট নিজেই কাজ দেবে

অ্যাপ্লিকেশন হ্যাং হলে দ্রুত কাজে ফেরার উপায়

ক্লাউড সেবা নিরাপদ রাখার উপায়

*

*

আরও পড়ুন