![]() |
আল-আমীন দেওয়ান : রবির গ্রাহকরা যেন টেলিটকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে আবার টেলিটকের গ্রাহকরা রবির-এমন উদ্যোগের অনুমতি পেতে বিটিআরসিতে আবেদন করেছে রবি।
বিষয়টি এমন, কোথাও টেলিটকের নেটওয়ার্ক নেই কিংবা তা দূর্বল তখন ওই এলাকায় রবির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কথা বলাসহ সব ধরনের মোবাইল সেবা পাবেন টেলিটক গ্রাহকরা।
আবার এই একই সুবিধা মিলবে রবির গ্রাহকের ক্ষেত্রেও। তারা ব্যবহার করতে পারবেন টেলিটকের নেটওয়ার্ক।
‘ন্যাশনাল রোমিং’ নামে এই সেবা চালুতে এবার বিটিআরসির আবেদন করেছে রবি। বিটিআরসি রবির এই আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এরআগে টেলিটকের নেটওয়ার্ক নিয়ে বাংলালিংক এমন আবেদন করেছিল। বিটিআরসির অনুমতি নিয়ে ইতোমধ্যে তারা বিষয়টি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে দেখেছে।
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম টেকশহর ডটকমকে বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই ‘ন্যাশনাল রোমিং’ নিয়ে আমরা কাজ করে আসছি এবং ২০১৫ সালে আমরাই এই বিষয়ে সর্বপ্রথম আবেদন করেছিলাম । মনে রাখতে হবে, এটি একটি পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া। তবে ‘ন্যাশনাল রোমিং’ প্রক্রিয়ায় যে সমস্যা গুলো রয়েছে সেগুলো সমাধান করেই বিটিআরসি এ ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত দেবে বলে আশাকরি।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টেকশহর ডটকমকে বলেন, ‘রবির আগে বাংলালিংক টেলিটকের সঙ্গে এই ন্যাশনাল রোমিং চালুতে আবেদন করেছে। বাংলালিংককে নীতিগত অনুমতিও দেয়া হয়েছে এখন যেটুকু বাকি তা কারিগরি। অপারেটর দুটি অনেকদূর এগিয়েছেও। সপ্তাহখানের মধ্যে আমরা তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো বিশ্লেষণ করাসহ সার্বিক বিষয় দেখবো।’
রবিকে অনুমতি দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রবিকে এই সিদ্ধান্তের জন্য সাধুবাদ। তবে এই উদ্যোগে আগে বাংলালিংক-টেলিটকের রোমিংটা চালু হোক, আমরা এর ফলাফল দেখি। এরপর রবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত।’
২০১৫ সালে রবি এয়ারটেলের সঙ্গে এই ন্যাশনাল রোমিংয়ের আবেদন করেছিল এবং তারা তখন অনুমতি পায়নি, এমন দাবি রবির। এ প্রসঙ্গে মোস্তাফা জব্বার বলেন, হয়ত তারা তখন বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে এগোয়নি।
বিটিআরসি বলছে, ন্যাশনাল রোমিং আন্তর্জাতিক রোমিং সেবার মতোই একটি বিষয়। এতে একটি মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরা দেশের কোনো এলাকায় তাদের নেটওয়ার্ক না পেলে কিংবা নেটওয়ার্ক দূর্বল হলে আরেকটি মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সব রকম মোবাইল যোগাযোগ সেবা নেবেন।
নীতিগত যা কিছু :
ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারিং গাইড লাইন-২০১১ এর ২.১ অনুযায়ী র্যান এবং কোর সুইচ শেয়ার অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার। ন্যাশনাল রোমিংয়ে দেখা যাচ্ছে অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার হচ্ছে। গাইডলাইনের ৩.১ অনুযায়ী অপারেটরগুলো শুধু প্যাসিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার করতে পারবে।
বিটিআরসি বলছে, অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারিংয়ের গাইডলাইনের খসড়া সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সেখানে এই অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।