টিকটককে শিক্ষামূলক কনটেন্ট প্রচার ও দেশের রীতিনীতি মানতে হবে

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টিকটক যাতে শিক্ষামূলক কনটেন্ট প্রচারের পাশাপাশি আমাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক রীতিনীতির সাথে মানানসই সামাজিক প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয় সে বিষয়ে টিকটককে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

টিকটকের গ্লোবাল পাবলিক পলিসি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হেলেনা লার্স ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সাথে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। আলোচনায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে এবং দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে টিকটক ফলপ্রসূ অবদান রাখতে পারে। মন্ত্রী এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটককে ভূমিকা গ্রহণ করতে বলেন।

Techshohor Youtube

হেলেনা লার্স ডিজিটাল সংযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রশংসা করেন এবং তারা বাংলাদেশের সংস্কৃতিসহ সকল রীতিনিতি মেনে টিকটককে গণমানুষের প্রিয় প্লাটফর্মে রূপান্তরে উদ্যোগ গ্রহণে আশ্বাস দেন ।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বেশির ভাগ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিনোদনের জন্য ব্যবহার করে। এই মাধ্যমটি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহারকারীগণ যাতে কাজে লাগাতে পারে সেজন্য তিনি শিক্ষামূলক উপাত্ত প্রচারের পাশাপাশি ইতিবাচক কাজে টিকটক ব্যবহারে আগ্রহ সৃষ্টিতে ভূমিকা গ্রহণের পরামর্শ ‌ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, স্মার্ট মানব সম্পদ তৈরির অংশ হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে দেশের ৬৫০টি স্কুল ও ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ‌্যমে পাঠদান কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। আরও একহাজারটি প্রতিষ্ঠানে এ ব্যবস্থা চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌছে দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল সংযুক্তির সম্প্রসারণের ধারাবাহিকতায় এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তি দেশের তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।

আরও পড়ুন

টিকটকসহ চীনা কোম্পানিগুলোকে কেন নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে দেখা হচ্ছে

বিবিসির কর্মীদের টিকটক অ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

*

*

আরও পড়ুন