অনুমোদন ছাড়া থ্রিজি বন্ধ, জরিমানা মওকুফে রবির আবেদন নাকচ

আল-আমীন দেওয়ান : অনুমোদন না নিয়ে থ্রিজি সেবা বন্ধ করায় আরোপিত জরিমানা মওকুফে রবির আবেদন নাকচ করেছে বিটিআরসি।

অপারেটরটি সারাদেশে প্রায় ২ হাজার টাওয়ারে থ্রিজি সেবা বন্ধ করার আগে বিটিআরসির অনুমতি গ্রহণ করেনি। এজন্য রবিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

এরপর রবি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী পূর্বানুমোদন না নেয়ার বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত উল্লেখ করে জরিমানা হতে অব্যহতির আবেদন করে।

Techshohor Youtube

বিটিআরসি বলছে, এটি লাইসেন্সের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই আরোপিত জরিমানা অব্যাহতির আবেদন গ্রহণ করা হয়নি।

এরআগে যখন জরিমানা করা হয় তখন গ্রাহক সংখ্যায় দেশের দ্বিতীয় এই অপারেটরটি নিজেদের ভুল স্বীকার করে বলেছিল, থ্রিজি লাইসেন্সে সেবা বিচ্ছিন্ন করার ক্লজ বা ধারাটি তারা বুঝতে পারেনি।

লাইসেন্সের ওই অনুচ্ছেদে (১৫ নম্বর) বলা হয়েছে, থ্রিজি সেবা স্থগিত বা বন্ধ করার ক্ষেত্রে বিটিআরসি এবং গ্রাহকদের অন্তত ৯০ দিন আগে লিখিতভাবে জানাতে হবে। যা করেনি রবি।

তখন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার টেকশহর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, ‘জরিমানা করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী এই টাকা তাদের দিতে হবে।’

রবি ২০২২ সাল হতেই বিটিআরসিকে না জানিয়ে দেশজুড়ে তাদের টাওয়ারগুলোতে থ্রিজি সেবা বন্ধ করা শুরু করে। যেখানে ঢাকা বিভাগে ৩৬ টি সাইটে, চট্টগ্রামে ২৯১ টি, রাজশাহীতে ৬৬৫ টি, রংপুরে ৩৯৭ টি এবং সিলেটে ৫৮১ টি সাইট রয়েছে। এরপর বিটিআরসিকে শুধু তারা বিষয়টি অবহিত করে।

পরবর্তীতে বিটিআরসি রবিকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোসহ যথাযথ অনুমোদন নিতে নির্দেশনা দেয়। এরপর রবি কারণ ব্যাখ্যায় বলে, ভালো মান ও গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা দিতে তারা থ্রিজি সেবা স্থগিত করেছে। আর থ্রিজি লাইসেন্সের ক্লজ বা ধারা সঠিকভাবে না বোঝার কারণে অনুমোদন নেয়ার বিষয়টি রবি বুঝতে পারেনি। সেইসঙ্গে এসব সাইটে থ্রিজি বন্ধের বিষয়ে ভূতাপেক্ষ অনুমোদনের আবেদন করে।

পরে রবিকে জরিমানা করা হয় এবং সাইটে থ্রিজি সেবা বন্ধের বিষয়ে ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দেয় বিটিআরসি। এক্ষেত্রে ৭টি শর্তও দেয়া হয়েছে যা পালন করতে হবে রবিকে।

*

*

আরও পড়ুন