![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নিজস্ব ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে রোববার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ভবনের উদ্বোধন করবেন। এদিন সকালে গনভবন হতে ভার্চুয়ালি তিনি ভবনটির উদ্বোধন ঘোষণা করবেন এবং ভাষণ দেবেন।
এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ. কে. এম. রহমতুল্লাহ। সম্মানিত অতিথি থাকবেন টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
বিটিআরসির যাত্রা শুরু হয় ২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি। বিটিআরসি তাদের কার্যক্রম চালাতে প্রথম ভাড়া করা অফিস নেয় গুলশানে-১ এ। ভবনের নাম ছিল, স্টাইল নাহার ভবন। এখানে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অফিস করে কমিশন।
এরপর তারা বনানীর সেতু ভবনে অফিস ভাড়া নেয়। এখানে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম চালায় তারা। ২০০৯ সালে রমনার আইইবি ভবনে অনেকটা বড় পরিসরে অফিস নেয় বিটিআরসি। নিজস্ব নতুন ভবনে আসার আগ পর্যন্ত এখানেই কার্যক্রম চালিয়েছে তারা। চলতি বছরের জুনে নতুন ভবনে অফিস স্থানান্তর করে বিটিআরসি।
নতুন ভবন আগারগাঁওয়ে, প্লট-ই ৫/এ শেরে বাংলা নগর। দৃষ্টিনন্দন নতুন ভবনকে দেখলে মনে হতে পারে যেন কোনো পাঁচ তারকা হোটেল।
ইতোমধ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ। করা হয়েছে সাজসজ্জা।
২০০৮ সালের ১৫ জুলাই বিটিআরসিকে জমি বরাদ্দ দেয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় । ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারিতে মাঠে গড়ায় ভবন নির্মাণ কার্যক্রম । ওইদিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তারপর থেকেই একটু একটু করে পাইলিংয়ের কাজ এগিয়ে যেতে থাকে। এরপর মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এর আগে ২০১৮ সালের আগস্টে ভবন নির্মাণে টেন্ডার ডাকে বিটিআরসি। তার আগে একই বছরের ১০ এপ্রিল এই প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা একনেকে অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।