মেধা ও দক্ষতা দিয়ে যুদ্ধ করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার তাগিদ দিলেন মোস্তাফা জব্বার

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বঙ্গবন্ধুর কন্যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে লড়াইটা করছেন এটিও একটি মুক্তিযুদ্ধ। এ যুদ্ধ বন্দুক দিয়ে নয়, এ যুদ্ধ মেধা ও দক্ষতার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বে এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত করেছেন। এই ধারা অব্যাহত করে আমাদের নতুন লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া।

মন্ত্রী বুধবার ঢাকার আগারগাওয়ে বিটিআরসি মিলনায়তনে বিটিআরসি আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এর সভাপতিত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। মূখ্য আলোচক হিসেবে অনুষ্ঠানে ব্ক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু গবেষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (অব.)। অনুষ্ঠানে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিটিআরসির সচিব মো নুরুল হাফিজ।

Techshohor Youtube

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব ছিল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথ নকশা। সমৃদ্ধির ঠিকানায় বাংলাদেশকে পৌছে দিতে বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, কারিগরি শিক্ষা বিস্তারে উদ্যোগ গ্রহণ, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউ ও ইউপিইউ এর সদস্যপদ অর্জন, বেতবুনিয়ায় ভু-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনসসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশ গ্রহণের অভিযাত্রা শুরু করেছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি বানচালের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রতিক্রিয়াশীল দেশি –বিদেশি অপশক্তির নির্মম চক্রান্তের ফসল ১৫ আগস্ট। প্রিয়জন হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে দীর্ঘ ২১ বছরে রাজ পথে আন্দোলন সংগ্রামের কঠিন পথ অতিক্রম করে সাড়ে উনিশ বছর দেশ পরিচালনা করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে উপনীত করেছেন। উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প হতে পারে না।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, এই অঞ্চলের হাজার বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ মাটিতে বিশ্বাস ঘাতক মীরজাফর- মোস্তাকরা যেমন জন্ম দিয়েছে তেমনি সৃজনশীল, সাহসী ও ত্যাগী বঙ্গবন্ধুর মতো মহান ব্যক্তিত্বের মানুষরাও এ মাটি থেকে উঠে এসে পৃথিবীতে নিজেদের অমরত্ব পেয়ে গেছেন।

কাজী সাজ্জাদ জহির বঙ্গবন্ধুর ওপর তার গবেষণালব্ধ বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপনা করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিব নগর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন কালে অখন্ড পাকিস্তানের পক্ষে খন্দকার মোস্তাক আহম্মেদের যড়যন্ত্রের তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে সামরিক এবং বেসামরিক অনেক বাঙালি কর্মকর্তা থাকা সত্ত্বেও তাদের বেশির ভাগই সরাসরি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করেননি। তার ভাষায় বাঙালি কর্মকর্তাদের মধ্যে যুদ্ধে শতকরা ৭০ ভাগের বেশি কর্মকর্তা পাকিস্তান সরকারের আনুগত্য নিয়ে কাজ করেছে। সাজ্জাদ আলী জহির বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নয় মুক্তিযুদ্ধের সন্তান হওয়ার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তৃতায় বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বঙ্গবন্ধুর জীবনের ঘটনা বহুল বিভিন্ন দিক বর্ণনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে যড়যন্ত্রকারিরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সকলকে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

*

*

আরও পড়ুন