![]() |
আল-আমীন দেওয়ান : বাংলালিংকের দিতে চাওয়া ৫০ কোটি টাকা গ্রহণ করেছে বিটিআরসি।
প্রথমে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) এই টাকা দিতে গেলে বাংলালিংকের শর্তের কারণে বিটিআরসি তা গ্রহণ করেনি। বাংলালিংকের দিতে চাওয়া এই ৫০ কোটি টাকা ছিলো অডিট আপত্তির ৮২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা পাওনা দাবির ইস্যুর।
এরপর ৩ দিনের সময় দিয়ে রোববার (৩০ জুলাই) বাংলালিংকের কাছে অডিট আপত্তির ৮২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা চেয়ে চিঠি দেয় বিটিআরসি। এদিন বিকালে বাংলালিংক আবার ৫০ কোটি টাকা নিয়ে যায়।
এবার বাংলালিংকের কোনো শর্ত ছাড়া এই টাকা গ্রহণ করে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। সেখানে এই টাকা অডিট আপত্তির মধ্যে ২জি লাইসেন্স কেইসে পাওনা দাবির একাংশ হিসেবে নেয় নিয়ন্ত্রণ কমিশন।
বাংলালিংকের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা এবং বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এই টাকা দেয়া-নেয়ার বিষয়টি টেকশহর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে টাকা চেয়ে দেয়া বিটিআরসির ওই চিঠির বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলালিংক। টাকা দেয়া হবে নাকি বিটিআরসির কাছে আরও কোনো আবেদন জানানো হবে-নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ঠিক করবে অপারেটরটি।
বাংলালিংক বলছে, তারা অডিট আপত্তির মূল টাকাসহ মোট ৪২৭ কোটি টাকা পরিশোধ করতে চান। এরমধ্যে এখন ২০০ কোটি টাকা আর বাকি ২২৭ কোটি টাকা তারা কিস্তিতে দেবেন। তবে ২২৭ কোটি টাকা দেয়ার ক্ষেত্রে বিটিআরসির কাছে বিলম্ব ফি ছাড়ের দাবি করেছে তারা।
চলতি বছরের ২৬ জুন বাংলালিংককে অডিট আপত্তির টাকা পরিশোধে চিঠি দেয় বিটিআরসি। প্রথমে অপারেটরটিকে ১০ দিনের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। পরে বাংলালিংক আবেদন করে কিছুটা সময় বাড়িয়ে নেয়।
বিটিআরসি ৮২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা অডিট আপত্তির দাবি নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ২০২৩ সালের ১৮ মে । এরপর ফাইন্যান্স ডিভিশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করে বাংলালিংকের কাছে টাকা দাবি করে বিটিআরসি।