![]() |
শাহরিয়ার হৃদয়, টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : চলতি সপ্তাহে স্মার্টফোনের জগতে আলোড়ন তৈরি করেছে অ্যাপল। নতুন আইফোন ৬ উন্মোচন করে দেখিয়েছে সময়টা এখন স্মার্টফোনের। একের পর এক নতুন উদ্ভাবনে হ্যান্ডফোনের ধারণাই পাল্টে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোও নিজেদের সেরাটা নিয়ে হাজির হচ্ছে প্রতি বছর।
পুরনো মডেলটির সঙ্গে ঠিকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠার আগেই দেখা যাচ্ছে আরও নতুন কিছুর সমাহার। নতুন কিছু আনতে কোম্পানিগুলোর মধ্যেকার প্রতিযোগিতায় লাভ হচ্ছে প্রযুক্তিপ্রেমীদের। মোবাইল ফোন ব্যবহারে নতুনত্বের এ প্রতিযোগিতা নতুন কিছুর স্বাদ উপহার দিচ্ছে গ্রাহকদের।
নতুন স্মার্টফোন আনার ক্ষেত্রে গত বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে জায়ান্ট কোম্পানিগুলো। বছর শেষ হতে আরও কয়েক মাস বাকি থাকতেই নতুন মডেল নিয়ে হাজির হয়েছে তারা। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো যেমন সফলতা দেখিয়েছে, তেমনি কিছু ফোন সুবিধা করতে পারেনি। বছরের সেরা ফোনগুলোর কথা জানাতে এ প্রতিবেদন।
অ্যাপল আইফোন ৫এস
সদ্য নতুন আইফোন ৬ ঘোষণা করেছে অ্যাপল। কিন্তু এখন পর্যন্ত অনেকের কাছে স্মার্টফোন হিসেবে তুলনাহীন আইফোন ৫এস।
গ্রেট ডিজাইন, প্রয়োজনীয় সব ফিচার, অ্যাপ ও কনটেন্ট কালেকশন—কোনোকিছু নিয়েই অভিযোগ করার উপায় নেই। দেখতে যদিও আইফোন ৫ এর মতো, কিন্তু ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও চমৎকার আইসাইট ক্যামেরা আছে এতে।
এইচটিসি ওয়ান (এম৮)
এইচটিসির সর্বশেষ ফ্ল্যাগশিপ অ্যান্ড্রয়েড ফোন এইচটিসি ওয়ান এম৮ অনেকের মতে এখন পর্যন্ত সেরা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন। পূর্বসুরী এইচটিসি ওয়ানের মতোই তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে এটি।
গর্জিয়াস আউটলুক, খুবই সুন্দর ফিনিশিং ও সেরা পারফরম্যান্সের এমন সমন্বয় কম ফোনেই দেখা যায়। এর ক্যামেরাটিও ফিচারে পরিপূর্ণ।
ওয়ানপ্লাস ওয়ান
যারা এখনও ওয়ানপ্লাস ওয়ানের কথা জানেন না, তারা অ্যান্ড্রয়েড বাজারের পরিবর্তন টের পাচ্ছেন না। শুধু দাম কমিয়ে যে স্যামসাং, অ্যাপল, এলজির মতো কোম্পানিকে টেক্কা দেওয়া যায়, তা দেখিয়েছে চাইনিজ ব্র্যান্ড ওয়ানপ্লাস।
৫.৫ ইঞ্চির ওয়ানপ্লাস ওয়ান সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, ডিজাইন—কোনোদিক দিয়েই অন্যান্য ফ্ল্যাগশিপ ফোনের চেয়ে কম না। অথচ দামের দিক দিয়ে গ্যালাক্সি এস৫ বা আইফোনের অর্ধেক।
ফোনটি অবশ্য খোলা বাজারে বিক্রি হয়নি। কিছু শর্ত পূরণ করে ইনভাইটেশনের মাধ্যমে শুধু কেনা সম্ভব। তাই আশানুরূপ প্রসার পায়নি।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৫
প্রতি বছরের সেরা ফোনের তালিকায় স্যামসাংয়ের একটি ফ্ল্যাগশিপ ফোন থাকবেই। গ্যালাক্সি এস৫ স্বভাবমতো তার জায়গা দখল করে নিয়েছে। গ্যালাক্সির সর্বশেষ এ চমকে অনেক অপ্রয়োজনীয় ফিচার রিমুভ করেছে স্যামসাং।
পাওয়ার সেভিং মোড, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, হার্টবিট সেন্সরের মতো চমৎকার ফিচার যুক্ত করেছে। এখনকার সবচেয়ে ফিচারসমৃদ্ধ ফোনও বলা যায় একে। তবে কিছুটা নিম্নমানের বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি।
গুগল নেক্সাস ৫
এলজির সাথে পার্টনারশিপে গুগল নেক্সাস ৫ বাজারে আনে। নেক্সাসকে বলা যায় অ্যান্ড্রয়েডের ‘শুদ্ধতম’ এক্সপেরিয়েন্স। থার্ড পার্টি ম্যানুফ্যাকচারারের কোনো মোডিফিকেশন বা যোগ-বিয়োগ নেই।
সবার আগে সফটওয়্যার আপডেট পেয়ে থাকে এ ফোন। সবচেয়ে বড় কথা, দামের দিক দিয়ে এটি অন্য ফ্ল্যাগশিপ ফোন থেকে অনেক কম। তবে এর ক্যামেরা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে।
এলজি জি৩
জি সিরিজ দিয়ে ২০১৩ ও ১৪ সালে প্রতিযোগিতায় ফিরেছে কোরিয়ান ইলেকট্রনিক জায়ান্ট এলজি। জি৩ তে তারা যে ডিসপ্লে ব্যবহার করেছে, সেটি বর্তমানের সবচেয়ে নিখুঁত ও হাই রেজুল্যুশন ডিসপ্লে।
পারফরম্যান্স ও ফিচারের দিক দিয়েও এই কম নয়। তবে পাওয়ার বাটন, ভলিউম রকার ফোনের পেছনে, অনেকের যাতে অসুবিধা হতে পারে।
নোকিয়া লুমিয়া ১৫২০
সেরা ফোনের তালিকায় নোকিয়া থাকবে না সেটি কি হয়। কোম্পানি হিসাবে এখন আর টিকে না থাকলেও এখনও অনেকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ফিনিশ কোম্পানির এ জনপ্রিয় ব্রান্ড। এটি প্রমাণ করতেই যেন উইন্ডোজ ফোনের প্রথম ফ্যাবলেট লুমিয়া ১৫২০ সকলের নজর কেড়েছে।
এর বিশাল ৬ ইঞ্চি স্ক্রিন উইন্ডোজ ফোনের অভিজ্ঞতাই অনেক পালেটে দেবে। প্রিমিয়াম ডিজাইন, চমৎকার ডিসপ্লে ও ক্যামেরার কারণে এটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
নোকিয়া লুমিয়া ১০২০
এক বছরের বেশি সময় ধরে নোকিয়ার ফ্ল্যাগশিপ ফোন এটি। এর ৪১ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এখন পর্যন্ত কোনো মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহার হওয়া সর্বোচ্চ ক্যামেরা। কিছুদিনের মধ্যেই অবশ্য এর জায়গা নিতে যাচ্ছে লুমিয়া ৮৩০।