![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : হতাশাগ্রস্ত মুক্তা পাস করেছেন ইডেন কলেজ থেকে। ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর চাকরির জন্য চেষ্টা করে করে অবশেষে রাগে দুঃখে গত ২৩ মে ফেইসবুক লাইভে এসে নিজের ২৭ বছরের অর্জন সব একাডেমিক সনদ পুড়ে ফেলেন। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও বায়ান্ন টিভির মাধ্যমে নজরে আসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের। সোমবার তাকে চাকরি দিলেন পলক।
কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রামের মেয়ে মুক্তা সুলতানা । প্রতিমন্ত্রী মুক্তার সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাঁর দপ্তরে আসার জন্য অনুরোধ জানান।
আলোচনার পর প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন “এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার” প্রজেক্টে ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট এন্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। তার বেতন ৩৫ হাজার টাকা।
চাকরি পেয়ে মুক্তা বলেন, একজন প্রতিমন্ত্রী ফেসবুক ভিডিও দেখে নাগরিকের ক্ষোভ-দুঃখ হতাশা দূর করতে তাকে খুঁজে এনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাকরির ব্যবস্থা করবেন তা এখনো তার কাছে বিস্ময়ের । তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ প্রসংগে পলক বলেন, দেশের মেধাবী তরুণ-তরুণীরা যেন হতাশাগ্ৰস্ত না হয় এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছি। যথাযথ শিক্ষাগ্রহণ করলে বাংলাদেশে কোনো শিক্ষিত তরুণ-তরুণী বেকার থাকবে না। তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দিয়ে নিজেকে তৈরি করতে পারলে চাকরির পেছনে ঘুরতে হবে না। বরং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে। আইসিটি বিভাগ তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং “এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার” প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জি: মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন।