![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: শুধু মানুষ নয় পাখিরাও একাকীত্ব বোধ করে; আবার সময় কাটানোর মতো সঙ্গী পেলে আনন্দ অনুভব করে। নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে েেতাতাপাখিদের শেখাতে পারলে তারা রীতিমতো ভিডিও কলে তার সঙ্গীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। আর এই পাখিরা বিচ্ছিন্নতা অথবা একাকীত্ব কম অনুভব করে।
নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সহকারি অধ্যাপক ও গবেষক রেবেকা ক্লেইনবার্জার বলেছেন, তোতাপাখি খুবই সামাজিক প্রজাতির। অনেক তোতাপাখিই বড় ঝাঁকের সাথে থাকে। কিন্তু এরা যখন মানুষের সাথে বাস করে সত্যিকার অর্থেই অন্যান্য পাখিগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তারা। এরফলে এসব তোতাপাখি খুব একঘেয়েমি ও একাকীত্বে ভোগে।
তিনি আরো বলেন, বাসায় অনেক পোষা প্রাণী থাকলেও দেখা যায় সেখানে পাখি বলতে একমাত্র তোতাপাখিই থাকে। এ কারণে পাখিটি নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ডেভেলপ করতে পারে না।
গবেষণায় তোতাপাখিকে একটি ঘন্টা বাজানো এবং আইপ্যাড নিয়ে আসার মধ্যে বাছাই করার বিষয়টি শেখানো হয়েছিলো। তোতাপাখিদের তাদের ‘বন্ধুদের’ ডাকতে কোনটি প্রয়োজন তা বাছাইয়ের অনুমোদন দেয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।
ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিজ্ঞান ও জলজ কৃষি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রেবেকা মির বলেছেন, একই ধরনের পরীক্ষা অন্যান্য সামাজিক প্রাণীদের উপকার করতে পারে।
গবেষণাটি সম্পন্ন করতে তিনমাস সময় লেগেছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে কিছু পাখি খুব দ্রুত শিখে নিয়েছে কিন্তু অন্যদের পরিচয় হতে বেশি সময় লেগেছে।
গবেষণার বিষয়টি তুলনামূলক নতুন। গবেষকরা বলছেন প্রাণীদের মধ্যে ভিডিও কলে কথা বলা বিষয়ে সম্ভবত এটিই প্রথম গবেষণা।
রেবেকা মির আরো বলেন, ‘আমরা কিছুটা চাপে ছিলাম। পাখিগুলো যাতে ভয় না পায় অথবা আক্রমনাত্বক না হয়ে উঠে সেজন্য বেশকিছু নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভিডিও কল শুরু হলে তারা হয় দেখতে থাকবে অথবা একে অপরকে নকল বা অনুকরন করবে। কিন্তু দেখা যায় ভিডিও কল শুরু হলে কিছু পাখি অন্যকে ডাকাডাকি শুরু করে। অনেকে বেশ শান্ত ছিলো আবার কিছু পাখি স্ক্রিনের একেবারে কাছে এসে ঘুমিয়ে পড়ে। ’
আরএপি